খেলাপি ঋণ বড় সমস্যা :পিডিবিএফ

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সরকারের স্বায়ত্তশাসিত ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প প্রতিষ্ঠান পলিস্ন দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে খেলাপি ঋণ। মাত্র ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকার তহবিলের এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান খেলাপি ঋণ ৮৩ কোটি টাকা। এই টাকা আদায়ে যত দ্রম্নত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য দায়িত্ব নেয়া ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম। শনিবার রাজধানীর এলজিইডি ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা অগ্রগতি পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে পিডিবিএফের ঢাকা, কুমিলস্না, নরসিংদী ও সিলেট অঞ্চলের মাঠ কর্মীরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ও পিডিবিএফের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়, আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বায়ত্তশাসনের নাম করে মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে একক সিদ্ধান্ত সবকিছু করেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি থমকে যায়। তিন প্রতিষ্ঠানের অর্থ তছরূপ করেন। কিন্তু বর্তমানে আবার প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। এর প্রতিটি স্তরে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটির জনবল সংকট রয়েছে। অতি শিগগিরই এই সমস্যা সমাধানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। অতীতে যে আত্ম কোন্দল ছিল সেগুলোকে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যদি কেউ এমন করার চেষ্টা করে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পিডিবিএফ বেড়ে উঠেছে ঠিকেই কিন্তু অপুষ্টিতে ভুগছে। এখন পর্যন্ত যারা এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অধিকাংশেরই অসম্মানে বিদায় নিতে হয়েছে। এদের কেউ হয়তো স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আবার অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে। এমন চাপ নিয়ে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। খেলাপি ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে আড়াই হাজার নিয়মিত কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা যদি প্রত্যেকে দৈনিক ৫০০ টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই টাকা আদায় করা সম্ভব হবে। বর্তমানে পিডিবিএফের খেলাপি ও অনিয়মিত মিলে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা বকেয়া। এই টাকা যেকোনো মূল্যে আদায় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনেক বড় হয়েছে কিন্তু গ্রোথ বাড়েনি। ঋণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ শতাংশ। এখন যে আয় হয় তাতে নিজেরা চলতে পারি। কিন্তু পিডিবিএফ তৈরি করা হয়েছে দারিদ্র দূর করার জন্য। তাই বাড়তি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা সভায় ঢাকা, কুমিলস্না, নরসিংদী ও সিলেট অঞ্চলের প্রতিনিধিরা তাদের কর্ম পরিকল্পনা ও বিগত তিন মাসের প্রতিবেদন পেশ করেন।