সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত কমেছে যাযাদি রিপোর্ট গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে পতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সসহ বাকি দুটি সূচকেরও পতন হয়েছে। সূচকের এই পতনের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৫৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাতও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংক খাতের পিই কমেছে দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট থেকে কমে ১১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে বিমা খাত। এ খাতের পিই ১৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট থেকে কমে ১২ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রিশিও ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে থেকে কমে ১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশল খাতের ১৪ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৫০ পয়েন্টে এবং সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৪ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে মিথুন নিটিং যাযাদি রিপোর্ট গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে মিথুন নিটিং। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয়নি। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অন্যদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। টাকার অংকে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২ টাকা। সপ্তাহের কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। মিথুন নিটিংয়ের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ফার্স্ট ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে জিকিউ বলপেন। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, কেডিএস এক্সসরিজের ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইন্সু্যরেন্সের ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্সু্যরেন্সের ৭ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, গেস্নাবাল ইন্সু্যরেন্সের ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম কমেছে। চামড়াশিল্পের কর্মপরিকল্পনায় টাস্কফোর্স যাযাদি রিপোর্ট চামড়া শিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ দিতে ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সম্প্রতি 'চামড়া শিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্স' গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহ্বায়ক শিল্পমন্ত্রী। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের অতিরিক্ত সচিব টাস্কফোর্সে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। টাস্কফোর্স দেশের চামড়া শিল্পের সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা ও চামড়া শিল্পের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা উত্তরণের উপায় নির্ধারণ করবে। চামড়া শিল্পের উন্নয়ন, বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করবে। দেশের পরিবেশ আইন/বিধিমালা অনুসরণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কমপস্নায়েন্স অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান, বিদ্যমান বাজারকে শক্তিশালীকরণ, নতুন নতুন উদ্ভাবন, ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও উত্তম অনুশীলন গ্রহণ করার লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজও করবে টাস্কফোর্স। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ও সাব-কমিটি গঠন করে তাদের মতামত নিতে পারবে। টাস্কফোর্স বছরে কমপক্ষে চারটি সভা করবে। শিল্প মন্ত্রণালয় এ টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বলেও আদেশে উলেস্নখ করা হয়েছে।