এডিএন টেলিকমের আইপিও নভেম্বরে

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট এডিএন টেলিকমের আইপিওর আবেদন ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। পুঁজিবাজারে আইটি খাতে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এডিএন টেলিকমের আইপিওর শেয়ারের জন্য আবেদন করা যাবে ৪ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম ধরা হয়েছে ২৭ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক শেয়ারে যারা বিনিয়োগে আগ্রহী, তাদের ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে এ বছরের ৪ থেকে ১১ নভেম্বররে মধ্যে আবেদন করতে হবে। যদি শেয়ারের চেয়ে বেশি আবেদন পড়ে তবে লটারির মাধ্যমে ঠিক করা হবে প্রাথমিক শেয়ারের মালিক। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এডিএনের আইপিও অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। আইপিওর মাধ্যমে ৫৭ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে এডিএন টেলিকম। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৩০ টাকা দরে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে ২৭ টাকায় ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ শেয়ার কিনবেন। বাজার থেকে তোলা অর্থ ভৌত কাঠামো উন্নয়ন, ডাটা সেন্টার স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। তালিকাভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, এখন আইপিওর সাবস্ক্রিপশন ও লটারি অনুষ্ঠিত হবে। লটারি শেষে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্তির আবেদন অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করবে। অনুমোদন পেলে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের হিসাবে জমা করবে সিডিবিএল। এরপর স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেন শুরুর দিন ঠিক করবে। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, এডিএন টেলিকেমের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য ১৬ দশমিক ১৩ টাকা এবং বেসিক শেয়ারপ্রতি আয় ২ দশমিক ৫২ টাকা ও সমন্বিত (অ্যাডজাস্টেড) শেয়ারপ্রতি আয় ২ দশমিক ৩৬ টাকা এবং ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় ১ দশমিক ৮১ টাকা। আর ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিবরণ অনুযায়ী, এডিএনের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য রয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা, শেয়ারপ্রতি আয় রয়েছে দুই টাকা ৬৭ পয়সা। কোম্পানিটির ইসু্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এডিএন টেলিকমের আইপিও প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, আইপিওর মাধ্যমে অর্থ তুলে বিএমআরইতে ব্যয় করা হবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ, ডাটা সেন্টারে পাঁচ কোটি ৪৯ লাখ, ঋণ পরিশোধে ১৫ কোটি ৯০ লাখ এবং বাকি অর্থ আইপিও খরচ হিসেবে যাবে।