উৎপাদন অনুপাতে বাড়ছে না কফির ব্যবহার

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ কফি বর্ষ। গত বছর বিশ্বজুড়ে কফি উৎপাদনে চাঙা ভাব বজায় ছিল। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধির অনুপাতে বাড়েনি চাহিদা ও ব্যবহার। ফলে উদ্বৃত্ত থেকে গেছে প্রচুর কফি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর আন্তর্জাতিক বাজারে পনীয় পণ্যটির সরবরাহে উদ্বৃত্ত বজায় রয়েছে। খবর গেস্নাবাল কফি রিপোর্ট। ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের (আইসিও) সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি প্রেস রিলিজে বলা হয়, ২০১৮-১৯ কফি বর্ষে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন আগের বর্ষের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১৬ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ব্যাগে (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) পৌঁছেছে। এর বিপরীতে পানীয় পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহার ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১৬ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ব্যাগ দাঁড়াতে পারে। এ হিসাবে পণ্যটির চাহিদা অনুপাতে উদ্বৃত্ত থেকে যেতে পারে সাড়ে ৪০ লাখ ব্যাগ। এবার মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা ব্যতীত অন্যসব অঞ্চলে কফি উৎপাদন বেড়েছে। এ দুটি জায়গায় কফি সংগ্রহ আগের মৌসুমের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যাগ। এদিকে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক কফি উৎপাদনকারী অঞ্চল দক্ষিণ আমেরিকায় এবার উৎপাদন হতে পারে মোট ৮ কোটি সাড়ে ৯ লাখ ব্যাগ, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এশিয়া ও ওশেনিয়ায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে উৎপাদন হতে পারে মোট ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ব্যাগ এবং আফ্রিকায় উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ব্যাগ, যা আগের তুলনায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। আইসিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি সরবরাহ পানীয় পণ্যটির দামে মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে। ২০১৮-১৯ কফি বর্ষে আইসিও সূচকে প্রতি পাউন্ড কফির গড় দাম উঠেছে মাত্র ১০০ দশমিক ৪৭ সেন্ট। আগামী বর্ষে এ অবস্থা আরো প্রকট হয়ে উঠতে পারে।