লন্ডনে বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে টিপু মুনশি

মহিলা ও যুব সমাজকে ই-কমার্সে উদ্বুদ্ধ করতে হবে

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট যুক্তরাজ্যে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, পাটজাত পণ্য এবং পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারেন। যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত শুক্রবারের বিজনেস ডায়ালগ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে সফররত বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বারের কর্মকর্তা, সম্ভাবনাময় বিনিয়োগকারী এবং তরুণ উদ্যোক্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিসেস সাইদা মুনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে অনেক বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য যৌথ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যর উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অনেক ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী বাংরাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র যাচাই-বাছাই করছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মার্লবরোহ হাউজে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মহিলা ও যুব সমাজকে ই-কমার্সে উদ্বুদ্ধ করতে কমনওয়েলথকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই। এ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিক ও নিরাপদ হওয়া প্রয়োজন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক সময় পারস্পরিক বিশ্বাস ও সংহতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু প্রটোকল থাকা প্রয়োজন, এ ক্ষেত্রে কমনওয়েলথকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরকে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে এগিয়ে যেতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন এ সেক্টরে বিপুল দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠেছে। কমনওয়েলথ এর যে কোন উদ্যোগে বাংলাদেশকে সংশ্লিষ্ট করা যেতে পারে। এতে করে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো উপকৃত হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও কর্ম সম্পাদনের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মধ্যে ভিসা সহজ হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববাণিজ্য সহজ, প্রসার ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করে বাণিজ্য পদ্ধতি সহজ করতে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো, ক্রোস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইনেশিয়েটিভ, ক্রিয়েশন অফ ডিজিটাল ট্রেড অ্যান্ড মার্কেট পেস্নস বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।