মালয়েশিয়ার পামওয়েল আমদানি সীমিত করবে ভারত

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কাশ্মীর ইসু্যতে নয়াদিলিস্নর সমালোচনা করায় মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েলসহ কিছু পণ্য আমদানি সীমিত করতে পারে ভারত। সরকারি ও শিল্প-সংক্রান্ত সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। খবর রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এক বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সরকারি ও অন্য এক শিল্প সূত্র বলছে, মালয়েশিয়ার পাম অয়েল আমদানি সীমিত করার কথা ভাবছে ভারত। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে আরো অন্যান্য পণ্য আমদানিতেও বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে। গত মাসে জাতিসংঘে দেওয়া মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ভাষণে ক্ষুব্ধ ভারত। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দেয়া ভাষণে মাহাথিরের অভিযোগ 'কাশ্মীরে আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব চালাচ্ছে ভারত' এবং চলমান সংকট নিরসনে পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে কাজ করা উচিত তাদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবছে ভারত। সূত্রগুলো বলছে, মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর বার্তা দিতে চাচ্ছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম ভোজ্যতেল আমদানিকারক দেশটির মোট আমদানির দুই-তৃতীয়াংশই পাম অয়েল। প্রতি বছর ৯০ লাখ টনেরও বেশি পাম অয়েল আমদানি করে ভারত, যার বেশির ভাগই আসে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের বরাতে জানা গেছে, ২০১৯ সালের প্রথম নয় মাসে মালয়েশিয়া থেকে সর্বোচ্চ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ ভারত ৩৯ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করেছে। মালয়েশিয়া থেকে যদি পাম অয়েল আমদানি সীমিত করা হয়, তাহলে বিকল্প বাজার হিসেবে ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনা ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করবে দেশটি। মালয়েশিয়ার পাম অয়েল ও অন্যান্য পণ্য আমদানিতে ভারতের সম্ভাব্য বিধিনিষেধ আরোপের খবরটি প্রথম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনো বিবেচনার আওতায় রয়েছে, এমন বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি। এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পাননি তিনি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রত্যেকেই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে এ নিয়ে তারা দুটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। গত আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে ভারত, যা পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে।