স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক কারখানার কার্যক্রম আবার চালু

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সিরামিক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার মূল উৎপাদন প্রক্রিয়ার সংস্কারের পর পুনরায় চালু করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৭ আগস্ট ঘোষণা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির কারখানার সংস্কারের জন্য মূল উৎপাদন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে এ সংস্কার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে তাই গত ১৪ অক্টোবর থেকে কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ থাকা কার্যক্রম পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৩১ টাকা ৯৮ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬০৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬১৩ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন্ন ৫৯০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৬৬২ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর আট কোটি ৫৭ লাখ আট হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭৫৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ৯৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর আগে ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ছয় পয়সা এবং এনএভি ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। এটি তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫০ পয়সা ও ১৪ টাকা ৩৬ পয়সা। কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে 'বি' ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।