বিপরীতমুখী আদেশে এনএসআইর বাড়ি ভাড়া ভাতায় জটিলতা

বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্যতার বিষয়ে ১৯৮৫ সালের আদেশ অনুযায়ী সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী যে স্থানে বসবাস করছেন সে স্থানের হারে নয় বলা হয়েছে। আর ইতিপূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে, পরিবারের অবস্থান বিবেচনা করা হবে।

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বিপরীতমুখী দুইটি আদেশের ফলে এনএসআইর বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দায় (এনএসআই) সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়ার ভাতায় কেউ লাভবান আর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা মনে করছেন। সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিষযটি নিষ্পত্তি করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্যতার বিষয়ে ইতিপূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পত্রে উলেস্নখ করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বয়ং যে স্থানে অবস্থান করেন সে অবস্থান অনুযায়ী তাকে বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে তার পরিবারের অবস্থান বিবেচনা করা হবে। অপরদিকে ১৯৮৫ সালের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কর্মস্থলের জন্য নির্ধারিত হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্য হবেন; যে স্থানে বসবাস করছেন সে স্থানের হারে নয়। বাড়ি ভাড়া-সংক্রান্ত উপরে উলিস্নখিত আদেশ দুটি পরস্পর বিপরীতমুখী বিধায় সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রদানে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। আদেশ দুইটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্যতার বিষয়ে ১৯৮৫ সালের আদেশ অনুযায়ী সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী যে স্থানে বসবাস করছেন সে স্থানের হারে নয় বলা হয়েছে। আর ইতিপূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে, পরিবারের অবস্থান বিবেচনা করা হবে। ফলে পরিবারের অবস্থান বিবেচনা করা হবে, না সংযুক্ত কর্মস্থল বিবেচনা করা হবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, এনএসআই একটি গোপনীয় সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। এই সংস্থার কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এক কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করে অন্য কর্মস্থলে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা তার বদলিকৃত বা পদায়িত কর্মস্থলের হিসাব রক্ষণ কার্যালয় থেকে দেয়া হয়ে থাকে। সংযুক্ত কর্মস্থলের হিসাব রক্ষণ কার্যালয় থেকে নয়। চিঠিতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ে বদলি করে নরসিংদী জেলা কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা-থেকে তার সকল বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। কারণ প্রধান কার্যালয়ের খালি পদের বিপরীতেই তাকে বদলি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে, তিনি ঢাকার হারে নাকি নরসিংদীর হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন চিঠির দ্বৈততার কারণে তা স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় অথবা কোনো সমতল জেলায় বদলি বা পদায়ন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো জেলায় সংযুক্ত করা হলে বা বিপরীত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো জেলায় বদলি বা পদায়ন করে ঢাকা অথবা সমতল কোনো জেলায় সংযুক্ত করা হলে তিনি কোন ক্ষেত্রে পাহাড়ি ভাতা পাবেন তা নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় অধিদপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতার হার ও পাহাড়ি ভাতার প্রাপ্যতা মূল বদলিকৃত বা পদায়িত কর্মস্থলের বিবেচনায় নাকি সংযুক্ত কর্মস্থলের বিবেচনায় নির্ধারিত হবে সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট মতামত জানতে চায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।