বড় ধরনের ধস শেয়ারবাজারে

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। ফলে বড় পতন হয়েছে মূল্যসূচকের। সেই সঙ্গে লেনদেন নেমে গেছে ২০০ কোটি টাকার ঘরে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে শেষ ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ দিনই পতন ঘটল। এমন অব্যাহত দরপতনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার। পতন কাটাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। তবে আর্থিক খাতের অনিয়ম, তারল্য ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য শেয়ারবাজারের তারল্য সংকট কাটাতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের সুযোগও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বন্ড বিক্রি করে পাওয়া ২০০ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তবে এসব পদক্ষেপেও বাজারে তারল্য বাড়েনি। বরং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য সংকট অব্যাহত রয়েছে। এতে লেনদেন কমতে কমতে ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। ধারাবাহিক পতনের কবলে পড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতনের আভাস দেখা দেয়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭০ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি সূচকটি। তবে শেষ সময়ে পতনের প্রবণতা কিছুটা কমে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মূল্যসূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।বিপরীতে দাম কমেছে ২৯২টির। ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।