বেড়েছে নগদ লভ্যাংশের প্রবণতা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট পাঁচটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পাঁচ বছরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনটি কোম্পানি। দুটি কোম্পানি তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেবে। এছাড়া আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশের পরিমাণ বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির। জুন-ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ হিসাব-বছরের (২০১৮-১৯) ঘোষণা করা লভ্যাংশ পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গত শনিবার পর্যন্ত জুন-ক্লোজিং ৩০টি কোম্পানি ২০১৮-১৯ হিসাব-বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১২টির লভ্যাংশের পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশ কমেছে পাঁচটির। নতুন তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি এবার প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাকি ১০টি কোম্পানির লভ্যাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ কোম্পানির লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি এবার তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণা করা ৩০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র তিনটি কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের শুধু বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ২৭টি কোম্পানি হয় নগদ অথবা বোনাস শেয়ারের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশও দিচ্ছে। পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেটে বোনাস লভ্যাংশের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের কারণে এবার নগদ লভ্যাংশের প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। অবশ্য এর মধ্যেই কিছু কিছু কোম্পানি ভালো করছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে বোনাস লভ্যাংশের ওপর করারোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাজেটে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- কোনো কোম্পানির নির্দিষ্ট বছরের মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রিটেইন আর্নিংস, রিজার্ভ বা সারপস্নাস হিসাবে রাখলে তার ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অর্থাৎ কোম্পানির মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রিজার্ভে রাখার ক্ষেত্রে পুরো অংশের ওপরে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট বছরে নগদ লভ্যাংশের চেয়ে বেশি বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা বা বিতরণ করলে, তার ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। আর নগদ লভ্যাংশ না দিলেও বোনাস শেয়ারের ওপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে- এমন বিধান করা হয়েছে।