ঊর্ধ্বমুখী হলেও পতনেই রয়েছে পুঁজিবাজার

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজার দৃশ্যত পতনের ধারা কাটিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেখা গেলেও কার্যত পতনেই রয়েছে। টানা পতনে বাজার যে পরিমাণ পুঁজি হারিয়েছে তার সিকিটিও উঠেনি। যদিও সপ্তাহের শেষ কর্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল বাজার। কিন্তু বিনিয়োগকারিদের নিনিয়োগ ফিরে পাওয়া এখনো বহুদূর। তাই হতাশার মধ্যেই কাটছে তাদেও দিন। মূল্য সূচকের পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির। ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৭৭১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে টানা তিনদিনের ঊর্ধ্বমুখিতায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকটি প্রায় ১০০ পয়েন্ট বাড়ল। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক তিন পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৭ কোটি নয় লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনার বাংলা ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল, রেনেটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, সুহৃদ ও ওয়াটা কেমিক্যাল। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।