বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

পাটে ভর্তুকি দিয়ে ভারতের সঙ্গে পালস্না দেওয়া হবে

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী 'বহুমুখী পাটপণ্য মেলা'র উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী
বাংলাদেশের চেয়ে ভারত কম মূল্যে পাটপণ্য রপ্তানি করায় রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, আমরা পাটপণ্যে ভর্তুকি দেয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। ভর্তুকি দিতে পারলে আমরা রপ্তানি বাজারে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী 'বহুমুখী পাটপণ্য মেলা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনের এ মেলা আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তার ২৮০ ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, 'পাটপণ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমরা একটি কম্পিটিশনে (প্রতিযোগিতা) আছি। তারা আমাদের চেয়ে অনেক কম মূল্যে দেয়ার ফলে আমাদের এক্সপোর্ট মার্কেট (রপ্তানি বাজার) একটু সীমিত হয়ে আছে। যদি আমরা ভর্তুকি দিতে পারি, তাহলে ভারতের সঙ্গে কম্পিটিশনে এগিয়ে যাব।' তিনি বলেন, 'পাটপণ্যে ভর্তুকি দেয়ার বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন। এটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি বাড়িয়ে দেয়ার বিষয় একমত। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবার বসব, যাতে সুবিধাটা বাড়িয়ে নেয়া যায়। আমার সচিবকে বলল, খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।' পাটমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন, সুতরাং আমাদের এটা কার্যকর করতে হবে। এটা করতে পারলে আমাদের ৬০০-৭০০ উদ্যোক্তা, যে ২৮০টি পণ্য আছে, তা আরও বেড়ে যাবে। উদ্যোক্তারা কম দামে পণ্য দিতে পারবেন। এতে আমাদের রপ্তানি আয়ও বেড়ে যাবে।' উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার জন্য জেডিপিসি করা হয়েছে জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, 'আমি মন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই এটিকে গতিশীল করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিন তিনবার আমার সচিব বদলি হয়েছে। তিনবার সচিব বদলি হওয়ার কারণে আমরা একটু ঢিলা হয়ে গেছি। আমার ধারণা, এবারের সচিব অনেক দিনের জন্য আসছে। আমরা এবার খুব গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে যাব।' পাটপণ্যের মেলা আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি উদ্যোক্তাদের নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে বেশি বেশি মেলা করার জন্য। যাতে করে আমাদের উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলো জনগণের কাছে পরিচিত হয়। ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতে আমাদের যে জায়গা আছে, সেখানে স্থায়ী মেলার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। যাতে আমাদের উদ্যোক্তারা বিনা খরচে তাদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারেন।' দেশি পণ্যের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'আমাদের উদ্যোক্তারা এত ভালো পণ্য উৎপাদন করে তা আমার ধারণাতেই ছিল না। আমরা বিদেশে গিয়ে পণ্য কিনে আনি। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো পণ্য উৎপাদন হয়। বিদেশের থেকে আমাদের উদ্যোক্তাদের পণ্যের মান ভালো। তাই আমরা বেশি বেশি আমাদের দেশি পণ্য ব্যবহার করব।' বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান।