ইজ অব ডুয়িং বিজনেস নিয়ে ঢাকা স্কুলের সেমিনার

ব্যবসার প্রক্রিয়া সহজীকরণে কাঠামো ও আইনগত বাধা দূর করতে হবে

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। কিন্তু সরকার ও বেরকারি খাত তাদের চাকরি দিতে পারছে না। এতে সমাজে বেকারত্ব ও আয়বৈষম্য বাড়ছে। এজন্য চাকরির বিকল্প হিসেবে যুবশক্তিকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য কাঠামোগত ও আইনগত নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিবন্ধকতা দূর করে ব্যবসার পরিবশে (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) সহজ করতে হবে। গত শুক্রবার রাতে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স (ডিএসসিই) আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা স্কুলের উদ্যোক্তা অর্থনীতির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত 'উদ্যোক্তা ও সহজে ব্যবসা করা' শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হেলাল আহমেদ চৌধুরী, ভারতের গেস্নাবাল ইন্টারপ্রেনিউরশিপ গ্রিডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ভোলানাথ দত্ত, ঢাকা স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক রেহানা পারভীন ও সারাহ তাসনীম বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ এ মামুন। আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর যে পরিমাণ মানুষে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠা। কিন্তু দক্ষতা, অর্থ ও পরিবেশের অভাবে তারা উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের দিকে। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মদ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮ তম। এই সূচকে উন্নতি করতে হবে। তরুণদের সহায়তা করতে স্টার্ট-আপ তহবিল গঠন করতে হবে।