অক্টোবরে রপ্তানি সংকোচন কমেছে চীনে

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অক্টোবর নিয়ে তৃতীয় মাসে চীনের রপ্তানি কমেছে। তবে ওই মাসে দেশটির রপ্তানি যে পরিমাণ কমবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা কম সংকুচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেই মূলত দেশটির রপ্তানি শ্লথ হয়ে পড়েছে। খবর জাপান টুডে। এদিকে চীন-মার্কিন উভয়ই সম্প্রতি নিজেদের বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে চেষ্টা করছে। যখন দুই দেশই 'প্রথম ধাপে'র একটি অল্প পরিসরের বাণিজ্য চুক্তিতে প্রায় সম্মত হয়েছে, ঠিক তখনই নিজেদের সব খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেইজিং। দীর্ঘ সময় বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত থাকায় এরই মধ্যে পুরো বিশ্বে দেশটির পণ্যের চাহিদা কমেছে। সরকারি হিসাব মতে, গত মাসে দেশটির আন্তর্জাতিক চালান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে; যা পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক ভালো। গত মাসে দেশটির রপ্তানি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমতে পারে বলে বস্নুমবার্গের সমীক্ষায় পূর্বাভাস করা হয়েছিল। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে দেশটির বৈদেশিক চালান কমেছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এদিকে অক্টোবর পর্যন্ত টানা ছয় মাসে চীনের আমদানি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তবে অক্টোবরে দেশটির আমদানি আগের মাসের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে। এছাড়া গত মাসে দেশটির আমদানি যে পরিমাণ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, এটি তার চেয়ে একটু কম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধের মূল বিষয় বাণিজ্য উদ্বৃত্ত। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের চলমান প্রথম ধাপের অল্প পরিসরের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনায় আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারগুলোয় খানিকটা চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। বিশেষত বেইজিং-ওয়াশিংটন প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির জন্য সম্মত হয়েছে, বৃহস্পতিবার চীন কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় অনেক বেশি প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট শেয়ারবাজারগুলো। আগের মাসের তুলনায় অক্টোবরে চীনের আমদানি-রপ্তানি খানিকটা ভালো হওয়ায় উভয় খাত যে পরিমাণ সংকুচিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা কম সংকুচিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রাসমুসেন বলেন, আমদানি-রপ্তানি যে পরিমাণ কমবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, গত মাসে তার চেয়ে খানিকটা কম সংকুচিত হয়েছে।