দরপতনের বাজারে ব্যতিক্রম বিমা খাত

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মূল্য সূচকের সামান্য পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দরপতন হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে পতনের এ বাজারে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ছিল বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। গতকাল লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। কিন্তু সেই ধারায় নাম লেখায়নি বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। শুরু থেকেই লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে থাকে, যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ কারণে দিনভর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের অংশ নেয়া বিমা খাতের ৩৯টি কোম্পানি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে শেয়ারের দাম কমেছে মাত্র ৫টি বিমা কোম্পানির। সিংহভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ারের এই দাম বাড়ার কারণে মূল্যসূচক বড় দরপতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এদিন সব খাত মিলে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৪টির। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স মাত্র ২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবসের উত্থানের পর ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সামান্য কমল। অবশ্য প্রধান মূল্যসূচক কমলেও আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক। এ সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক আগের কার্যদিবসের মতো ১ হাজার ৬৬৪ পয়েন্টেই অবস্থান করছে। প্রধান মূল্য সূচকের সামান্য পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়াটা কেমিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনার বাংলা ইন্সু্যরেন্স। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল পলিমার, ফরচুন সুজ, উত্তরা ব্যাংক, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।