রংপুরে স্থানীয় পর্যায়ে রাজস্ব আদায় বেড়েছে

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে ভ্যাট ও কাস্টমস থেকে চলতি অর্থবছরে তিন মাসে গতবারের তুলনায় রাজস্ব আদায় স্থানীয় পর্যায়ে বাড়েছে। তবে আমদানিতে কমেছে। স্থানীয় ও আমদানি পর্যায়ে গতবারের চেয়ে লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৫৪৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে ছিল এক হাজার ২৩০ কেটি টাকা। চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর (সাময়িক) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২৮৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় ২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধিও হার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কম। সেই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্টে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। গতবছরের তুলনায় ১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অন্যদিকে, আমদানি পর্যায়ে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্র দেওয়া হয়েছে ৫০৪ কোটি ৭১ লাখ ৫ হাজার টাকা। গত অর্থবছর ছিল ৪৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যা গতবারের চেয়ে ৭০ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা বেশি। এদিকে, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৭ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আদায় হয়েছে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার ১৩০ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৮ টাকা কম। এর মধ্যে জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৮২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩০ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৪ টাকা বেশি। আগস্টে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার টাকা। আদায় হয়েছে ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ২৩০ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৯ টাকা কম। সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬০ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৯ টাকা বেশি। অক্টোবরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার ৩১ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ কোটি ৬০ লাখ ৯৫৯ টাকা কম। আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। জানা গেছে, রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে ৬টি বন্দর রয়েছে। এর মধ্যে হিলি, বুড়িমারি ও বাংলাবান্দা স্থলবন্দর হিসেবে চালু রয়েছে। চালু হয়নি সোনাহাট স্থল, রৌমারী নৌ ও বিরল ট্রেন বন্দর। রংপুর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের কমিশনার শওকত আলী সাদী যায়যায়দিনকে জানান, তার অফিসে পরিদর্শক শতকরা ৫০ ভাগেরও কম রয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায়ে চাপ বাড়ছে। তাই পদ অনুযায়ী পরিদর্শক বাড়ালে রাজস্ব আদায় আরও সহজ হতো।