যাযাদি রিপোর্ট
নানা চড়াই-উতরাইয়ের পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহর এলাকায় ২০ একর জমির ওপর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষে হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্রটি চীনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোকে (ইপিবিকে) বুঝিয়ে দেবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে স্থায়ীভাবে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইপিবির মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী জানান, পূর্বাচল উপশহর এলাকায় ২০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ -চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষে হয়েছে।
'চলতি মাসেই চীনের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইপিবিকে তা বুঝিয়ে দেবে। পূর্বাচলে স্থায়ীভাবে বাণিজ্যমেলা করার জন্য আমরা সরকারের কাছে ৩৮ একর জমি চেয়েছি। এর মধ্যে আমাদের ২৬ একর জমি পেয়েছি। আরও ১২ একর জমি আমরা শিগগির পেয়ে যাব।'
তিনি বলেন, ২০ জমির ওপর এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ। ৬ একর জমিতে এখনো কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি। তবে হবে। সেগুলো চায়নিজ কোম্পানি করে দেবে না, আমাদেরই করতে হবে। যেমন- ওয়্যার হাউস, পাওয়ার পস্ন্যান্ট, স্থায়ী ফুড সেন্টার ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করতে হবে। 'যা আগামী একবছরের মধ্যে নির্মাণ করা সম্ভব হবে। ফলে আশা করা যাচ্ছে আগামী ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে স্থায়ীভাবে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত করতে পারব। এখনো পূর্বাচলের স্থায়ী জায়গা পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে।'
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ইংরেজি বছরের প্রথমদিন শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সে সময় দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ক্রেতারা সমবেত হন মাসব্যাপী এই পণ্য মেলায়। মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে এ মেলার আয়োজন করা হলেও সব শ্রেণির মানুষের সমাগমে এটি পরিণত হয় মিলনমেলায়। এতদিন স্বল্প পরিসরে অস্থায়ীভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ মেলার আয়োজন করা হতো।
অপ্রতুল জায়গার কারণে স্থায়ী ভেনু্যর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পূর্বাচলে বিশাল পরিসরে কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য উৎপাদন এবং তা যথাযথভাবে প্রদর্শনে এ মেলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।