ইইউতে জিএসপি পস্নাস বাণিজ্য সুবিধা চান বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। এ সময় বাংলাদেশ আশা করে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে জিএসপি পস্নাস নামে বাণিজ্য সুবিধা দেবে। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ' এর ৬ষ্ঠ রাউন্ডের সভায় বাংলাদেশ পক্ষের প্রতিনিধি দলের প্রধানের বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ২০১৬ সালের ২২ তারিখ এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল একই স্থানে ৫ম বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। ৫টি সেক্টরে কাজ করার জন্য ৫টি ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কাস্টমস, ফার্মাসিউটিকেলস, ট্যাক্স, ফাইন্যানসিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেয়। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মসি রেন্সজে তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ড. ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রপ্তানি বাজার। এভ্রিথিক্স বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইইউ-এর দেয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এ জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত অর্থবছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন ডলাররে পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৫৮ শতাংশ। আগামী দিনগুলোতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বির্শ্বযাংকিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য করতে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এ ডায়ালগের উদ্দেশ্য। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবেই এ সভা করা হয়। ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এতে করে উভয়পক্ষই উপকৃত হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য উভয়পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে।