জার্মান বিনিয়োগ পেল ওয়ালটন

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ জয় করে এখন ওয়ালটনের লক্ষ্য বিশ্ববাজার। আর ওই বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণে ওয়ালটন নিচ্ছে বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ওয়ালটনের প্রয়োজন বিশাল বিনিয়োগ। এ অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের পাশে দাঁড়াচ্ছে জার্মান বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিইজি)। নতুন করে ওয়ালটনে ২০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করছে ডিইজি। এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়নে ব্যয় করা হবে। জানা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর কাতারে নিজেদের জায়গা করে নিতে ওয়ালটন জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে। লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সেরা মানের পণ্য তৈরি থেকে শুরু করে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে ওয়ালটন। নিয়োগ দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকৌশলী এবং বিপণন বিশেষজ্ঞদের। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের প্রয়োজন ছিল বিশাল বিনিয়োগের। ওয়ালটনের ব্র্যান্ড ইমেজ এবং দ্রম্নত অগ্রসর হওয়ার কারণে তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ডিইজি। তৃতীয়বারের মতো তারা বিনিয়োগ করছে ওয়ালটনে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রকল্পে দুই দফায় আরো ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, জার্মান এ বিনিয়োগ বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্প খাতকে সমৃদ্ধ করবে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্প এবং এসব পণ্যের বিশ্বব্যাপী বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গতিশীল হবে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর হেড অব ডিভিশন (কেএফডবিস্নউ অ্যান্ড ডিইজি) লারস নিডার বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডবিস্নউ-ডিইজি'র ঢাকা কার্যালয়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ফাইয়াজ হোসেন। গত ৫ ডিসেম্বর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিএফও আবুল বাশার হাওলাদার, রেফ্রিজারেটর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ইতসুরু সুজুকি, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ইয়োন মং ইয়াং, গেস্নাবাল আরএন্ডডি প্রধান তাপস কুমার মজুমদার, চিফ কোঅর্ডিনেটর আলমগীর আলম সরকার, ডেপুটি চিফ কোঅর্ডিনেটর ইউসুফ আলী প্রমুখ। জার্মান প্রতিনিধিদলটি ওয়ালটন কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। লারস নিডার বলেন, ওয়ালটন কারখানা দেখে আমি মুগ্ধ। গত এক দশকে ওয়ালটন যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। রকেটের গতিতে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।