প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে কোস্টারিকায় কফি সংগ্রহ মৌসুম শুরু হয়। একই সময় পণ্যটির রপ্তানি শুরু করে দেশটি। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দেশটি এ পানীয় পণ্যটির রপ্তানি নিম্নমুখী রয়েছে। ফলে মন্দায় বছর শেষ হয়েছে দেশটির কফি রপ্তানি খাতের। কোস্টারিকা কফি ইনস্টিটিউট (আইসিএএফই) সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর রয়টার্স।
আইসিএএফইর তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমের প্রথম তিন মাস (অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর) মিলে দেশটি থেকে ৬১ হাজার ৪১৭ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি রপ্তানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম।
এদিকে গত ডিসেম্বরে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার ৭৯০ ব্যাগ কফি রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কম। ২০১৮ সালের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫৭৬ ব্যাগ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এ পণ্যটির রপ্তানি কমেছে ৩ হাজার ৭৮৬ ব্যাগ। এছাড়া মৌসুমের প্রথম দুই মাসে (অক্টোবর ও নভেম্বর) রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৩০ ও ৫৫ শতাংশ।
মধ্য আমেরিকার ক্ষুদ্র কফি উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে কোস্টারিকা অন্যতম। তবে উচ্চমানের পণ্য উৎপাদন করায় বিশ্ববাজারে দেশটি বেশ জনপ্রিয়। মূলত দেশটির কফি বাগানগুলোতে রোয়া ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, যা পণ্যটির উৎপাদন ও রপ্তানি কমিয়ে আনতে প্রভাব ফেলছে।
এছাড়া কৃষিপণ্যটির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও প্রতিকূল আবহাওয়াও রপ্তানি হ্রাসে অন্যতম প্রভাব হিসেবে কাজ করছে।