চার খাতের রপ্তানি বাড়াতে তহবিলের যাত্রা শুরু

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চার খাতের রপ্তানি বাড়াতে যাত্রা শুরু করল রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিল বা এক্সপোর্ট রেডিনেস তহবিল (ইআরএফ)। চার খাতের রপ্তানি বাড়াতে যাত্রা শুরু করল রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিল বা এক্সপোর্ট রেডিনেস তহবিল (ইআরএফ)। এর ফলে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও পস্নাস্টিক খাতের উদ্যোক্তারা এ তহবিল থেকে অনুদান গ্রহণের সুযোগ পাবেন। যা আর ফেরত দিতে হবে না। এ জন্য উদ্যোক্তাদের নতুন কোনো উদ্যোগ থাকতে হবে ও তার সঙ্গে অনুদান প্রদানের ধরনের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ তহবিলের আকার ১ কোটি ডলার বা ৮৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ সাড়ে ৩ বছর। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তহবিলের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এতে অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব জাফর উদ্দিন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ পস্নাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইআরএফ থেকে তিন ধরনের অনুদান পাওয়া যাবে। এর মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কমপস্নায়েন্সের অবস্থা নিরূপণের জন্য পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। নিরূপণের জন্য উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে আরও ১০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে। ব্যবসা ও কারিগরি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ৪০ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। এতে উদ্যোক্তাকে আরও ৪০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে। আর সেবা ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগের জন্য ২ লাখ ডলার পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। যেখানে উদ্যোক্তাকে আরও ৫০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে। অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যবসা ও বিনিয়োগসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেওয়া উচিত। চলতি বছরের শুরু থেকে কনটেইনার হ্যান্ডলিং মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এমন বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে মাশুল বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। শেখ ফজলে ফাহিম আরও বলেন, রপ্তানি কনটেইনারে তালার দাম ৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। এসব উদ্যোগ দুধের মধ্যে লেবু দেওয়ার মতো। বাংলাদেশের উন্নতি করতে সব ধরনের বাধা দূর করতে হবে। চার খাতের রপ্তানি বাড়াতে ইআরএফ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।