লেনদেনে এগিয়ে ব্যাংক-আথির্ক খাত

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে কয়েক দিন আগে ধীরগতি থাকলেও সপ্তাহের শেষ কাযির্দবসে খাত দুটিতে বেশ উল্লম্ফন দেখা গেছে। তবে জুনে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর লেনদেন আগের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংকিং খাতের অংশগ্রহণ ১৬ শতাংশ, এদিন খাতটির লেনদেন দঁাড়িয়েছে ৮৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের কাযির্দবসে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১১ শতাংশ, ওই দিন খাতটির লেনদেন হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৫ শতাংশ। আজ মোট লেনদেনে আথির্ক খাতের দখলে ছিল ১০ শতাংশ, খাতটির লেনদেন দঁাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের কাযির্দবসে এ খাতের অংশগ্রহণ ছিল ৪ শতাংশ, ওই দিন খাতটির লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে খাতটির লেনদেন বেড়েছে ৬ শতাংশ। এসব খাতের কোম্পানিগুলোর ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হবে। এদিকে, জুনে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলো লেনদেনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ডিএসইতে মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের দখলে ১৬ শতাংশ, খাতটির লেনদেনের পরিমাণ ৮৬ কোটি টাকা। আগের কাযির্দবসে মোট লেনদেনে খাতটির অংশগ্রহণ ছিল ২৩ শতাংশ, যার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২৪ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেশ কমেছে। এ ছাড়া লেনদেনে প্রকৌশল খাতের অংশগ্রহণ ১৮ শতাংশ, এ খাতের লেনদেনের পরিমাণ দঁাড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কাযির্দবসে মোট লেনদেনে প্রকৌশলের দখলে ছিল ২০ শতাংশ, ওই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারে ভর করে বাজারে লেনদেন বাড়লেও পরবতীের্ত বিনিয়োগকারীরা জুনে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে বাজারের লেনদেন বৃদ্ধি পায়। তবে বতর্মানে ডিসেম্বরে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে । এজন্য এসব কোম্পানির লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা। তথ্যমতে, ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ শতাংশ ফামাির্সউটিক্যাল খাতের। এছাড়া জ্বালানি খাতের ৫ শতাংশ, বিবিধ এবং বিমা খাতের ৪ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। কাগজ ও প্রকাশ, চামড়া, খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাত প্রত্যেকের ৩ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। সিরামিক এবং আইটি খাতের ২ শতাংশ করে, ভ্রমণ-অবকাশ, সিমেন্ট, জুট, মিউচুয়াল ফান্ড, সেবা-আবাসন, টেলিকমিউনিকেশন খাত প্রত্যেকের ১ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে।