চা উৎপাদনে ভাঙল দেড়শ বছরের রেকর্ড

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এবার চা উৎপাদনে রেকর্ড ভাঙল বাংলাদেশ। উৎপাদনের হালনাগাদ তথ্য সংশ্লিষ্টরা দিতে না পারলেও ১৬৫ বছরের ইতিহাসে ২০১৯ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে বাংলাদেশের চা শিল্প। বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি কেজি। তবে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মোট উৎপাদন হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন কেজি। এই হিসেবে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫ মিলিয়ন কেজির (৯.৫ কোটি) বেশি উৎপাদন হওয়ার কথা। সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। ওই বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি। এর আগে ২০১৬ সালে ১৬২ বছরের চা শিল্পের ইতিহাসে দেশের সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছিল ৮৫ দশমিক ০৫ মিলিয়ন কেজি। বিটিবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমদ বলেন, ২০১৯ সালে ইতোমধ্যে চায়ের উৎপাদনে রেকর্ড করেছি আমরা। তবে এখনো এর চূড়ান্ত হিসাব করা হয়নি। 'তাই সুনির্দিষ্ট করে এখনই পরিসংখ্যান বলা যাবে না। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানটা বলতে একটু সময় লাগবে, কেননা সমাপ্তির একটা বিষয় রয়েছে।' ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪ কোটি কেজিতে উন্নীত করতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে দেশে প্রায় দেড় কোটি কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই এখন লক্ষ্য। বাংলাদেশ চা সংসদ সিলেট অঞ্চল শাখার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, আগে কয়েক বছর চা উৎপাদন ভালো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা-বোর্ডের নানামুখী পদক্ষেপের দু-তিন বছর ধরে উৎপাদন বেড়েছে। বাংলাদেশ টি ট্রেডার্স অ্যান্ড পস্ন্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জহর তরফদার জানান, এখন শ্রীমঙ্গলেই সরাসরি নিলাম হওয়ায় চায়ের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে না। আর গুণগত মান ঠিক রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি চায়ের স্বর্ণযুগ ফিরবে।