মন্দা বাজারে বাড়ল বস্নকের লেনদেন

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মন্দার মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করল দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহজুড়ে মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে এই মন্দা বাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বস্নক মার্কেটের লেনদেনের পরিমাণ এর আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২৮টি প্রতিষ্ঠান ডিএসইর বস্নক মার্কেটের লেনদেনে অংশ নেয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯৭ লাখ ৭৮ হাজার ১টি শেয়ার ৭৫ কোটি ৯৬ লাখ ৬২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর বস্নকে ৩৬ প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৫৪ লাখ ১২ হাজার ৪৮৩টি শেয়ার ৬২ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বস্নকে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৮টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে বস্নকে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেনেটা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, গ্রামীণফোন, উত্তরা ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস, এসকে ট্রিমস, ফেডারেল ইন্সু্যরেন্স, এমএল ডাইং, অলিম্পিক, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যরেন্স, নাভানা সিএনজি, লিনডে বাংলাদেশ, এসইএমএল লেকচার ইকু্যইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, খুলনা পাওয়ার, ফনিক্স ফাইন্যান্স, জিকিউ বলপেন, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, মুন্নু জুট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সু্যরেন্স, ফাস ফাইন্যান্স, কাশের ইন্ডাস্ট্রিজ, বিবিএস কেবলস এবং নর্দার্ন জেনারেল ইন্সু্যরেন্স। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে বস্নকে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় রেনেটার শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৬ কোটি ২৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের ৫ কোটি ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৫ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার, গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার, উত্তরা ব্যাংকের ২ কোটি ৯৯ লাখ ২০ হাজার, বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার, এসকে ট্রিমসের ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৭ হাজার, ফেডারেল ইন্সু্যরেন্সের ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার এবং এমএল ডাইংয়ের ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে কোটি টাকার কম লেনদেন হয়। এর মধ্যে- অলিম্পিকের ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যরেন্সের ৪৬ লাখ, নাভানা সিএনজির ৪৫ লাখ ৯১ হাজার, লিনডে বাংলাদেশের ৩৬ লাখ ৯৯৩ হাজার, এসইএমএল লেকচার ইকু্যইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৩১ লাখ ৫৫ হাজার, খুলনা পাওয়ারের ২৬ লাখ ৯২ হাজার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২৫ লাখ ৮২ হাজার এবং জিকিউ বলপেনের ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়।