সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাণিজ্য মেলায়ও ফুটপাতের দামে বেচাকেনা যাযাদি রিপোর্ট ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতেও ফুটপাতের ছোঁয়া। নিউমার্কেট, গুলিস্তান কিংবা পল্টনের ফুটপাতের হকারদের মতোই মেসার্স ফ্যাশন মেলা এবং মায়ের দোয়া ওড়না হাউজের দোকানের কর্মচারীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করছেন। আর বলছেন, আসেন আপা আসেন, দেইখা লন ১০০, বাইছা লন ১০০, হিজাব লন, ওড়না লন ১০০, একদাম একদর। ঠিক একইভাবে ১৫০ টাকা দরে নামাজের হিজাব ও শাল বিক্রি হচ্ছে, মেয়েদের গাউন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। ছেলেদের শার্ট আর মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়ান পিস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম ছোট ও মাঝারি লেডিসদের ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে একদাম ১৫০ টাকা। মেলার ৫৮ নম্বর স্টল মেসার্স ফ্যাশন মেলায় সুতিসহ অন্তত ১৫-২০ ধরনের হিজাব-ওড়না একদাম ১০০ টাকা করে ডেকে ডেকে বিক্রি করছে। দোকানগুলো ছেলেদের নানা রঙের শার্ট বিক্রি করছে ২০০ টাকায়। একই দামে বিক্রি করছে মেয়েদের কামিজ। তবে মেয়েদেরটিকে বলা হচ্ছে ওয়ান পিস। দোকানে বিভিন্ন রকম ছোট ও মাঝারি লেডিসদের ব্যাগ বিক্রির হচ্ছে একদাম ১৫০ টাকায়। দোকানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল বলেন, আমরা কম দামে ভালো কাপড় বিক্রি করছি। তাই আমাদের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। মায়ের সঙ্গে মেলায় আসা রোহানা রুহি বলেন, দাম কম পেয়েছি তাই দুটি গাউন কিনেছি। আমার খুব ভালো লাগছে। মেলার টয়লেটে ধূমপায়ীদের কারণে ক্ষুব্ধ নারীরা যাযাদি রিপোর্ট ক্রমেই জমে উঠতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ক্রেতাদের সমাগমে বিক্রি-বাট্টাও বেশ ভালো। পণ্যের মানের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও পাবলিক টয়লেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তারা বলছেন, মেলার পরিবেশ ভালো। তবে পাবলিক টয়লেটকে একদল লোক 'স্মোক জোনে' পরিণত করেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদেরও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শনিবার মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় মোট ১২টি শৌচাগার রাখা হয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে দুটি পার্ট; একটি পুরুষ অন্যটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এসব শৌচাগারের সামনে এক শ্রেণির পুরুষ দর্শনার্থী ও মেলার বিভিন্ন স্টলের কর্মীরা 'স্মোক জোন' হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নারী শৌচাগারের সামনে পুরুষদের প্রকাশ্যে ধূমপান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী দর্শনার্থীরা। তাদের অভিযোগ, পুরুষরা নারী শৌচাগারের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করায় অনেকেই প্রয়োজনের সময় যেতে পারছেন না। কেউ-বা গেলেও এ পরিস্থিতি দেখে সেখান থেকে ফিরে আসছেন তারা। এ বিষয়ে মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সচিব আব্দুর রউফ বলেন, এতদিন পর্যন্ত বিষয়টা আমাদের নজরে ছিল না বা কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি। 'তবে মেলার পরিবেশ রক্ষায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে রাজি আছি। এটা একটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, কোনোভাবেই এর পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আমরা এটা অবশ্যই দেখেব।' ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প সরকারের যাযাদি রিপোর্ট জাতির মেধা বিকাশে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্য ও মেধায় অগ্রগামী হতে না পারলে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা দরকার। দেশের প্রাণিজ আমিষের একটা অংশ পোল্ট্রি সেক্টর থেকে আসে। কিন্তু প্রাণিজ আমিষের অন্যতম ডেইরি সেক্টর তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। তবে ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দুধের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে। শনিবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বাহা) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরু। সম্মেলনে 'বাংলাদেশে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের দৃষ্টিভঙ্গি' নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে প্রাণিসম্পদেরও আমূল পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। বর্তমানে দেশের মানুষ মাথাপিছু গড়ে প্রতিদিন ১৬৫ মিলি দুধ, ১২৫ গ্রাম মাংস এবং বছরে ১০৪টি ডিম খেতে পারছে। প্রাণিসম্পদের এ উন্নয়নে পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে।