গ্রামীণফোনে নতুন সিইও, তাই বিক্রেতা নেই শেয়ারের

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব থেকে বড় মূলধনের কোম্পানিটিতে বাংলাদেশি সিইও আসায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। এতে রোববার দাম বাড়ার শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছলেও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি কোনো বিনিয়োগকারী। ফলে সর্বোচ্চ দাম বেড়েও বিক্রেতা সংকটে থেকে গেছে। এতে যারা দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে কোম্পানিটির শেয়ার কেনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের হতাশ হতে হয়েছে। আর শেয়ারের এমন দাম বাড়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি এককভাবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বাড়িয়েছে ৪৩ পয়েন্ট। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সার্বিক শেয়ারবাজারেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বকেয়া পাওনা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের বড় দরপতন হয়। এতে প্রতিষ্ঠনটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। তবে কোম্পানিটিতে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি সিইও হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা আশা করছেন, এবার হয়ত সরকারের সঙ্গে গ্রামীণফোনের ঝামেলার অবসান হবে। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য সরকারপ্রধান থেকেও বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। গ্রামীণফোনের নতুন সিইও ঘোষণা আসার পর শেয়ারবাজারের প্রথম লেনদেন দিবস ছিল গতকাল রোববার। কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরুর দাম ছিল ২৪৪ টাকা ২০ পয়সা। এর থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে প্রথমে এক হাজার শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। কিন্তু এই দামে কোনো বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর ৯ দফায় দাম বাড়িয়ে একপর্যায়ে ২৬৩ টাকা ৩০ পয়সা করে সাত হাজার ৬২৭টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এই দামেও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে দফায় দফায় দাম বাড়লেও প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের বিক্রেতাশূন্যই থেকে গেছে।