সরকারি আমানত বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দিল সরকার

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ছয়-নয় সুদহার বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর সরকার। ঘোষণা অনুযায়ি আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ হার কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই সুদহার নির্দিষ্ট করে সরকারের নিজস্ব অর্থের ৫০ শতাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি আর বেসরকারি ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া নিয়মে বেসরকারি ব্যাংক ছয় শতাংশ হারে সুদ পাবে। আর সরকারি ব্যাংক পাবে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখলে সর্বোচ্চ সুদ পাবে ৬ শতাংশ। আর এই অর্থ যদি সরকারি ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখে তাহলে সর্বোচ্চ সুদ পাবে সাড়ে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ বেসরকারি ব্যাংকে সুদ বেশি পাবে আধা শতাংশ। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এডিপি এবং পরিচালন বাজেটের আওতায় প্রাপ্ত অর্থ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির নিজস্ব তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবসায় নিয়োজিত বেসরকারি ব্যাংক অথবা অব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনা প্রয়োজন। সে প্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, উলিস্নখিত উৎসসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদহারে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এবং মোট উদ্বৃত্ত অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহারে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে মেয়াদি আমানত রাখা যাবে। তবে প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ, পেনশন তহবিলের অর্থ এবং এন্ডাউমেন্ট ফান্ডের অর্থ এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সরকারের নিজস্ব অর্থের ৫০ শতাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রাখার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে ওই প্রজ্ঞাপনে আমানত রাখার ওপর সুদের হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সুদের পার্থক্যও রাখা হয়নি। নতুন প্রজ্ঞাপনে এগুলো স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিলের আগে সরকারি অর্থের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থের ২০ শতাংশ এবং মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থের ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার বিধান ছিল। উলেস্নখ্য, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সবধরনের ব্যাংকঋণে সুদহার সর্বোচ্চ নয় শতাংশ এবং আমানতে সুদহার সর্বোচ্চ ছয় শতাংশ বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার।