ভারতে ডিসপেস্ন তৈরির পস্নান্ট স্থাপন করছে স্যামসাং

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক এক সময় ভারতের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্যামসাং। তবে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এ বাজারে দক্ষিণ কোরীয় টেক জায়ান্টটির অবস্থান দিন দিন নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে ভারতের নয়ডায় একটি ডিসপেস্ন তৈরির পস্নান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে স্যামসাংয়ের ভারতীয় শাখা। খবর ইকোনমিক টাইমস, রয়টার্স ও টেকক্রাঞ্চ। /৩ জানুয়ারি ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা রেজিস্ট্রারার অব কোম্পানিজে (আরওসি) ডিসপেস্ন্ল তৈরির পস্নান্ট স্থাপন সম্পর্কিত নথি জমা দেয় স্যামসাং। এ নথি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানিটি ডিসপেস্ন্ল তৈরির পস্নান্ট স্থাপনে সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি (৫০ কোটি ডলার) অর্থ বিনিয়োগ করছে। নিজেদের ডিসপেস্ন্ল ইউনিটকে তারা তিন বছর মেয়াদি ঋণ হিসেবে এ অর্থ প্রদান করবে। একই সঙ্গে ডিসপেস্ন্ল পস্নান্ট স্থাপনে নয়ডায় অবস্থিত স্মার্টফোন কারখানার কিছু জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যার মূল্যমান ৯২ কোটি রুপি। পস্নান্টে স্মার্টফোনের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের ডিসপেস্ন্লও তৈরি করা হবে। ভারতের বাজার ধরতে ২০১৮ সালে স্যামসাং নয়াদিলিস্নর স্যাটেলাইট সিটি নয়ডায় এ স্মার্টফোন কারখানাটি চালু করে। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক পস্নান্ট। কারখানাটির জন্য ৭০ কোটি ডলার ব্যয় করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিসপেস্ন স্মার্টফোনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যন্ত্রাংশের একটি। তাই নতুন পস্নান্টটি ভারতে স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে স্যামসাংয়ের সক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকারের কাছ থেকে বিস্তৃত পরিসরে করছাড় সুবিধাও পাবে। এসব সুবিধা শাওমিসহ চীনা প্রতিযোগীদের টেক্কা দিতে স্যামসাংয়ের অবস্থানকে জোরদার করবে। স্যামসাংয়ের ডিসপেস্ন পস্নান্ট স্থাপনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানাশোনা আছে টেলিকম খাতের এমন ব্যক্তি বলেন, প্রথম দিকে স্যামসাং মোবাইল ফোন ডিসপ্লেতৈরি করবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ল্যাপটপ ও টেলিভিশনের ডিসপেস্ন্ল উৎপাদনও শুরু করতে পারে। চলতি বছরই পস্নান্টটির প্রথম ফেজের কার্যক্রম শুরু হতে পারে। স্যামসাংয়ের এ পদক্ষেপ ভারতের জন্যও ইতিবাচক। বৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ডকে আকর্ষণ করতে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশটি ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগীদের সঙ্গে পালস্না দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স পস্নাটফর্ম ভেরাটেক ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা মোহিত যাদব বলেন, ভারতে সেলফোনের ডিসপেস্ন তৈরির ব্যাপারে স্যামসাংয়ের এ সিদ্ধান্ত 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র জন্য খুব ইতিবাচক। এ সিদ্ধান্ত এটাও প্রতিফলিত করে যে, ভারতে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে স্যামসাং নিশ্চিত। প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার। দেশটিতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি। এ বাজারে বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে আছে স্যামসাং। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক চীনা ব্র্যান্ডের কাছে বাজারে অংশীদারিত্ব হারিয়েছে স্যামসাং। এসব প্রতিযোগীর সঙ্গে না পেরে স্যামসাং গত বছর চীনে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে আবার শাওমির কাছেই ভারতের স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া গত বছরের শেষ প্রান্তিকের মধ্যে রিয়েলমি স্যামসাংকে টপকে যাচ্ছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে। কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের অংশীদারিত্ব ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা তিন মাস আগে ছিল ২৫ শতাংশ। এ সময়ে ভিভো ও রিয়েলমির মতো ক্ষুদ্র চীনা ব্র্যান্ডগুলোর অংশীদারিত্ব বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) ভারত শাখার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতে ৮৮ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে স্যামসাং। ২০১৮ সালের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বাজারে ৯৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল। আর ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শাওমি ভারতের বাজারে ১ কোটি ২৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে।
এক সময় ভারতের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্যামসাং। তবে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এ বাজারে দক্ষিণ কোরীয় টেক জায়ান্টটির অবস্থান দিন দিন নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে ভারতের নয়ডায় একটি ডিসপেস্ন তৈরির পস্নান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে স্যামসাংয়ের ভারতীয় শাখা। খবর ইকোনমিক টাইমস, রয়টার্স ও টেকক্রাঞ্চ। /৩ জানুয়ারি ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা রেজিস্ট্রারার অব কোম্পানিজে (আরওসি) ডিসপেস্ন্ল তৈরির পস্নান্ট স্থাপন সম্পর্কিত নথি জমা দেয় স্যামসাং। এ নথি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানিটি ডিসপেস্ন্ল তৈরির পস্নান্ট স্থাপনে সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি (৫০ কোটি ডলার) অর্থ বিনিয়োগ করছে। নিজেদের ডিসপেস্ন্ল ইউনিটকে তারা তিন বছর মেয়াদি ঋণ হিসেবে এ অর্থ প্রদান করবে। একই সঙ্গে ডিসপেস্ন্ল পস্নান্ট স্থাপনে নয়ডায় অবস্থিত স্মার্টফোন কারখানার কিছু জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যার মূল্যমান ৯২ কোটি রুপি। পস্নান্টে স্মার্টফোনের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের ডিসপেস্ন্লও তৈরি করা হবে। ভারতের বাজার ধরতে ২০১৮ সালে স্যামসাং নয়াদিলিস্নর স্যাটেলাইট সিটি নয়ডায় এ স্মার্টফোন কারখানাটি চালু করে। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক পস্নান্ট। কারখানাটির জন্য ৭০ কোটি ডলার ব্যয় করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিসপেস্ন স্মার্টফোনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যন্ত্রাংশের একটি। তাই নতুন পস্নান্টটি ভারতে স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে স্যামসাংয়ের সক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি ভারত সরকারের কাছ থেকে বিস্তৃত পরিসরে করছাড় সুবিধাও পাবে। এসব সুবিধা শাওমিসহ চীনা প্রতিযোগীদের টেক্কা দিতে স্যামসাংয়ের অবস্থানকে জোরদার করবে। স্যামসাংয়ের ডিসপেস্ন পস্নান্ট স্থাপনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানাশোনা আছে টেলিকম খাতের এমন ব্যক্তি বলেন, প্রথম দিকে স্যামসাং মোবাইল ফোন ডিসপ্লেতৈরি করবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ল্যাপটপ ও টেলিভিশনের ডিসপেস্ন্ল উৎপাদনও শুরু করতে পারে। চলতি বছরই পস্নান্টটির প্রথম ফেজের কার্যক্রম শুরু হতে পারে। স্যামসাংয়ের এ পদক্ষেপ ভারতের জন্যও ইতিবাচক। বৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ডকে আকর্ষণ করতে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশটি ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগীদের সঙ্গে পালস্না দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স পস্নাটফর্ম ভেরাটেক ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা মোহিত যাদব বলেন, ভারতে সেলফোনের ডিসপেস্ন তৈরির ব্যাপারে স্যামসাংয়ের এ সিদ্ধান্ত 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র জন্য খুব ইতিবাচক। এ সিদ্ধান্ত এটাও প্রতিফলিত করে যে, ভারতে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির বিষয়ে স্যামসাং নিশ্চিত। প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার। দেশটিতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি। এ বাজারে বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে আছে স্যামসাং। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক চীনা ব্র্যান্ডের কাছে বাজারে অংশীদারিত্ব হারিয়েছে স্যামসাং। এসব প্রতিযোগীর সঙ্গে না পেরে স্যামসাং গত বছর চীনে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে আবার শাওমির কাছেই ভারতের স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া গত বছরের শেষ প্রান্তিকের মধ্যে রিয়েলমি স্যামসাংকে টপকে যাচ্ছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে। কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের অংশীদারিত্ব ২০ শতাংশে নেমে এসেছে, যা তিন মাস আগে ছিল ২৫ শতাংশ। এ সময়ে ভিভো ও রিয়েলমির মতো ক্ষুদ্র চীনা ব্র্যান্ডগুলোর অংশীদারিত্ব বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) ভারত শাখার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতে ৮৮ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে স্যামসাং। ২০১৮ সালের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি এ বাজারে ৯৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল। আর ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শাওমি ভারতের বাজারে ১ কোটি ২৬ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে।