ব্রেক্সিট-পরবর্তী অধ্যায়ের প্রস্তুতিতে ইইউ

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দুই সপ্তাহের কম সময় বাকি রয়েছে ব্রেক্সিটের। ফলে এ মুহূর্তে ব্রেক্সিটের পরবর্তী ধাপ জোট ছাড়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে নিবিড় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা। গত ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার এ জয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন দফা ব্রেক্সিট লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ব্রাসেলস। নির্বাচনী প্রচারণাজুড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট সমঝোতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যদিও এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুরোধ করার সুযোগ রয়েছে লন্ডনের। ব্রাসেলস মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে একমত হলেও বরিস জনসন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নে বিলম্ব করবেন না বলেই আশা করা হচ্ছে। ফলে ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো ও অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কেবল আট মাস সময় পাচ্ছে যুক্তরাজ্য। যা একটি 'অসম্ভব কাজ' বলে সতর্ক করেছেন এক ইউরোপীয় কূটনৈতিক। তিনি বলেন, বছর শেষে আমরা একটি খসড়া বাণিজ্য চুক্তি এবং সেসঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বিষয় পেতে পারি। কিন্তু এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্রেক্সিটের পর কেবল ২৫ ফেব্রম্নয়ারি ইইউ মন্ত্রীদের মতৈক্যের ভিত্তিতেই যত দ্রম্নত সম্ভব উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হতে পারে। এদিকে বরিস জনসনের ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথ পূর্বসূরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মের পথ থেকে ভিন্ন। ব্রেক্সিটের পরও ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে ও আন্তঃচ্যানেল অর্থনীতিতে যতটা সম্ভব কম বিশৃঙ্খলা তৈরি করার কথা বলেছিলেন টেরিসা মে। টেরিসা মের সরকারের ব্রেক্সিট প্রস্তাবনায় লন্ডন ইইউর পরিবেশনীতি, রাষ্ট্রীয় সহায়তা ও অন্যান্য মানদন্ড অনুসরণ করতে পারে বলে উলেস্নখ ছিল, যাতে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো ইউরোপে সহজ প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।