রপ্তানিতে সহায়তা পেতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্পে শর্ত

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এক অর্থবছরে পাঁচ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ডলার মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এসব প্রতিষ্ঠান কোনো বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন থাকতে পারবে না। তাহলেই পোশাক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা পাবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এক সার্কুলারের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সকল ক্ষদ্র ও মাঝারি শিল্পে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া হবে। তবে বর্তমানে যেসব উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এক অর্থবছরে পাঁচ মিলিয়ন পর্যন্ত মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রফতানি করবে এবং কোনো বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয় সেসব প্রতিষ্ঠান পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে। আরও স্পষ্ট করা হয়েছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কোনো অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ শূন্য হলে পরবর্তী অর্থবছওে ক্ষদ্র ও মাঝারি বস্ত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ সহায়তার আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। উলেস্নখ, ২০১৯ সালে ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়, তৈরি পোশাক রফতানির বিপরীতে এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেবে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকরণ করা তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে এই সহায়তা দেয়া হবে। এতে বলা হয়েছিল, তৈরি পোশাকের রফতানিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার নূ্যনতম ৩০ শতাংশ হতে হবে। এ সুবিধা এবং ডিউটি ড্র-ব্যাক-বন্ড সুবিধা যুগপৎভাবে গ্রহণ না করার শর্ত প্রযোজ্য হবে না। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রফতানির বিপরীতে বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড, ইজেড) অবস্থিত টাইপ-সি (দেশীয় মালিকানাধীন) প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।