রিক্যাপের প্রতিবেদন

চট্টগ্রাম বন্দরে নৌ-অপরাধ শূন্যের কোটায়

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চট্টগ্রাম বন্দরে নৌ অপরাধ শূন্যের কোটায় এসেছে। প্রথম বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের উপকূলীয় সমুদ্র অঞ্চল শতভাগ নিরাপদ। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজে জলদসু্যতা প্রতিরোধকারী সংস্থার (রিক্যাপ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে পরিদর্শনকারী টিমের প্রধান নিকোলাস বলেন, সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে চীনে ৩টি, ভারতে ৪টি, ইন্দোনেশিয়ায় ২০টি, মালশিয়ায় ০৮টি, ফিলিপাইনে ০৬টি এবং ভিয়েতনামে ০২টি নৌচুরি এবং জলদসু্যতার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব অপরাধের দিক দিয়ে বাংলাদেশ শূন্যের কোটায় রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে নৌ-নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অর্জন জাপান ও সিঙ্গাপুরের পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আইএসপিএস কোড বাস্তবায়ন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। যা অবশ্যই গর্বের। বাংলাদেশ ফ্রেট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন মানে বহির্বিশ্বে দেশের নৌবাণিজ্য সেবার উন্নয়ন। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বমানের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এদিকে ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সভা কক্ষে রিক্যাপের ডেপুটি ডাইরেক্টর মি. নিকোলাস লিও সহ পাঁচ সদস্যের একটি টিম ও পোর্ট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নিকোলাস চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিউল বারী (এনডিসি) পিএসসি, বি এন কে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলদসু্যতামুক্ত করার বিশেষ কৌশল অবলম্বনের জন্য অভিনন্দন জানান। মত বিনিময় সভায় তিনি বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে উপকূলীয় অঞ্চলে জলদসু্যতা প্রতিহত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন এবং সম্প্রতি আইএসপিএস বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় বন্দরের প্রশংসা করেন।