৭০০ কোটি টাকা ছাড়াল লেনদেন

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়ায় দেশের শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। সূচকের টানা উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক বছর পর আবারও সাতশ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে। শেয়ারবাজারে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সুবিধা দেয়ার পর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে উলস্নম্ফন দেখা দেয়। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছে। বুধবার ডিএসইতে ছয়শ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়। আগের দুই কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেও শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যায়। ডিএসইতে শুরুতেই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে বড় ধরনের উত্থান হয় মূল্য সূচকের। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। দিনভর ডিএসইতে ৭৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রম্নয়ারির পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। গত বছরের ১৮ ফেব্রম্নয়ারি ডিএসইতে ৮৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর বাজারটিতে আর আটশ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি। অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক এমন হু হু করে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামও বাড়তে থাকে। এতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ অনেক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেননি। দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর মধ্যে দাম বাড়ার সীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় তিনটি কোম্পানি। এছাড়া আরও অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি চলে আসে। অন্যদিকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন এক শতাংশের ওপর দাম বেড়ছে ২৩৪টির। এর মধ্যে ১৮৩টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপর। ৪ শতাংশের ওপর দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ৯৫টি। ৫ শতাংশের ওপর দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ৬৪টি। ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের ওপরে। ৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়েছে ১৭টির।