প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় গতিশীল হচ্ছে বাজার

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দীর্ঘদিন পরে পুঁজিবাজারে গতি ফিরতে দেখা গেছে। গতকাল ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়ায়। পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সম্প্রতি প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল না থাকলেও পাঁচ শতাংশ সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করারও সুযোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে বাজারে ইতিবাচক গতি দেখা যাচ্ছে। সূচক ও বেশিরভাগ শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘদিন পরে ডিএসইর লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াল। বৃহস্পতিবার একদিনেই বাজার মূলধন প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। বাজার এভাবে ধীরে ধীরে গতিশীল হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হবেন। কারণ লোকসানে থাকা পোর্টফোলিও সমন্বয় করতে পারলে হয়তো ফের বাজারে আস্থা রাখতে পারবেন তারা। গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের সিংহভাগ প্রকৌশল, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং জ্বালানি ও বিদু্যৎ-এই চার খাতে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৫ শতাংশ করে লেনদেন হয় প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে। প্রকৌশল খাতে পাঁচ কোম্পানির দরপতন হয়। এসএস স্টিলের ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৪০ পয়সা। ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে আফতাব অটো এবং ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে আরএসআরএম স্টিল দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে উঠে আসে। বস্ত্র খাতে আট কোম্পানির দর কমেছে। ১০ শতাংশ করে বেড়ে এমএল ডায়িং ও সায়হাম টেক্সটাইল দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়, দরপতন হয় ৮০ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে আট কোম্পানি দরপতনে ছিল। ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৬০ পয়সা। ১০ শতাংশ বেড়ে ফার কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ওরিয়ন ফার্মা, ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে এএফসি এগ্রো, ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে অ্যাকটিভ ফাইন দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে একমাত্র ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর কমেছে। ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে বাজারে নেতৃত্ব দেয় খুলনা পাওয়ার। দর বেড়েছে তিন টাকা ৬০ পয়সা। ডরিন পাওয়ারের ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে তিন টাকা ৭০ পয়সা। সামিট পাওয়ারের ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। লেনদেন কম হলেও অন্যান্য সব খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে ছিল মুনাফা তোলার প্রবণতা।