শেয়ারবাজারে উলস্নম্ফন

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় দেশের শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। সূচকের টানা উত্থানের সঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে লেনদেনের গতি। রোববার রীতিমত উল্লম্ফন হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক বছর পর আবারও ৯০০কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। আর এক লাফে প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬৯ পয়েন্ট বা প্রায় চার শতাংশ। আর অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে ৫৩৩ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক হিসেবে চালু হওয়া 'ডিএসইএক্স'র এটি একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি একদিনে সূচকটি ২৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল। তার আগে ২০১৫ সালের ১০মে সূচকটি একদিনে বেড়েছিল ১৫৫ পয়েন্ট। ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে শেয়ার বাজারে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১০ফেব্রম্নয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেযা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাত শতাংশ সুদে এ তহবিলথেকে ঋণ দিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার পর মঙ্গলবার (১১ ফেব্রম্নয়ারি) শেয়ারবাজারে উলস্নম্ফন দেখা দেয়। সে সঙ্গে লেনদেন বেড়ে ৫০০কোটি টাকার ঘরে পৌঁছে। পরের কার্যদিবস বুধবার (১২ ফেব্রম্নয়ারি) ডিএসইতে ৬০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রম্নয়ারি) লেনদেন হয় ৭০০ কোটি টাকার ওপরে। আগের তিন কার্যদিবসের মতো চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৬ ফেব্রম্নয়ারি) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। ডিএসইতে লেনদেনের শুরু থেকেই অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। সময় গাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এই প্রবণতা। ফলে দিনের লেনদেন শেষে উলস্নম্ফনে রূপ নেয় সূচক। সে সঙ্গে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায় লেনদেন। দিনভর ডিএসইতে ৯১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রম্নয়ারির পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হল। গত বছরের ১৪ ফেব্রম্নয়ারি ডিএসইতে ৯৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর বাজারটিতে আর ৯০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।