জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনুদান দেবেন বেজোস

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এক হাজার কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এ অনুদানের ঘোষণা দেন বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী। খবর : রয়টার্স। তহবিলের নাম দেওয়া হয়েছে 'বেজোস আর্থ ফান্ড'। জেফ বেজোস জানান, 'এ তহবিল থেকে আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম থেকেই অনুদান দেওয়া শুরু হবে।' এর আগেও অনেক ধনকুবের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করতে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, মিডিয়া উদ্যোক্তা ও নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল বস্নম্নমবার্গ, হেজ ফান্ডের টম স্টেয়ার প্রমুখের নাম উলেস্নখযোগ্য। জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান আমাজনে চাকরি করেন সাড়ে সাত লাখ মানুষ, যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। আমাজন একসময় ছিল অনলাইনে পুরানো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন ই-কমার্স সাইটটি থেকে কেনা যায় না, এমন পণ্যের সংখ্যা বিরল। দুনিয়ার যে কোনো প্রান্ত থেকে পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় আমাজনে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি। ১৯৯৫ সালে অনলাইনে পুরানো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান আমাজন চালু করেন জেফ বেজোস। মাত্র এক মাসের মধ্যেই তার ব্যবসা হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। এক মাসের মধ্যেই আমাজন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠায়। পাঁচ বছর পর তাদের ক্রেতার সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে এক কোটি ৭০ লাখে পৌঁছায়। শুরুর দিকে বিক্রি ছিল পাঁচ লাখ ১১ হাজার ডলার। পাঁচ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ডলারে। বড় বড় কোম্পানি আমাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করে। ১৯৯৭ সালে আমাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়। অর্থ উঠল পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বয়স ৩৫ হওয়ার আগেই জেফ বেজোস হয়ে গেলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে 'কিং অব সাইবার কমার্স' হিসেবে আখ্যায়িত করে।