গ্রামীণফোনের শেয়ারে বড় দরপতন

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা বাবদ আরও এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়ার পর শেয়ারবাজারে গ্রামীণফোনের শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে। সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই আপিল বিভাগে থেকে গ্রামীণফোনের বিষয়ে আদেশ আসে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বৃহত্তর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিল বিভাগের এমন আদেশের পর লেনদেনের শুরুতেই গ্রামীণফোনের শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মাত্র পাঁচ মিনিটে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সাড়ে সাত টাকা কমে যায়। লেনদেনের বাকি সময় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় ২৩ টাকা ৬০ পয়সা কমে যায়। এ দিন কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দরপতন হলেও গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও রোববার বড় ধরনের উত্থান হয়েছিল। এই উত্থানেও বড় ভূমিকা রাখে আপিল বিভাগের নির্দেশ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবারের মধ্যে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের ওই নির্দেশের পর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে আদালতের নির্দেশ মেনে রোববার বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে গ্রামীণফোন। এতে ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ে ২০ টাকা। পরের দুই কার্যদিবসও শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে তিন কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৫৫ টাকা বেড়ে যায়। এ বিষয়ে ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, জরিমানার সংবাদে কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ে এমনটি আগে দেখিনি। গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে সেটি দেখলাম। এখন আবার দাম কমছে। জরিমানার কারণে শেয়ারের দাম কমবে- এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজারের বিনিয়োগকারীরা হুজগে বিনিয়োগ করেন। তাদের এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালোভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এদিকে গত রোববার গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে হস্তান্তর করেছে।