শেয়ারবাজারে টানা দরপতন

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
টানা উত্থানের পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। সোমবার নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো। বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ানোয় এমন হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের সংবাদে বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। ফলে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। যারা আগের শেয়ার কিনেছেন, এখন তাদের একটি অংশ মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য বিক্রির চাপ বাড়িয়েছেন। শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলেও তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, এই দরপতন স্বাভাবিক। শিগগির বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরবে। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, টানা উত্থানের কারণে এখন বাজারে কিছুটা বিক্রির চাপ রয়েছে। যারা আগে কিনেছেন তারা মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য বিক্রি করছেন। এ কারণে বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। এটা স্বাভাবিক। এভাবেই বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার লেনদেনের শুরু থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একের পর একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে বড় পতন হয় মূল্যসূচকের। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০১টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্‌ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয় ৬০০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- কনফিডেন্স সিমেন্ট, এসকে ট্রিমস, বিএসআরএম, লাফার্জাহোলসিম, গাল্ডেন হার্ভেস্ট, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১০০ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।