বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
রিয়াদে জি২০ সম্মেলন

বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমাচ্ছে আইএমএফ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো। শনিবার জি২০ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন থেকে এই আহ্বান রাখা হয়। রিয়াদে জি২০ভুক্ত দেশগুলোর ওই সম্মেলনে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খবর রয়টার্স।

চলতি বছর চীনের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। এ ছাড়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট সংকুচিত হবে বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলনে পূর্বাভাস উপস্থাপন করে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, বিরাজমান এই নাজুক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইএমএফ। গত মাসে চীনের যে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, সেখানে নতুন পূর্বাভাসে তা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমানো হয়েছে।

শনিবার চীন বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিউএইচও) সতর্ক করে বলছে, এখনই প্রাদুর্ভাবের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন। অন্য কয়েকটি দেশে নতুন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ডবিস্নউএইচও। জর্জিয়েভা বলেন, বর্তমান বেজলাইন পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারে চীনের অর্থনীতি। এতে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব তুলনামূলকভাবে নূ্যনতম ও ক্ষণস্থায়ী হতে পারে। তবে যদি ভাইরাসটির আরও বিস্তার হয় এবং চলমান পরিস্থিতি বহাল থাকে, তাহলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে তা প্রভাব ফেলবে।

ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা দেশ না ছাড়ার কারণে রিয়াদে চীনের প্রতিনিধিত্ব করেন সৌদি আরবে চীনের রাষ্ট্রদূত। জি২০ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহামারি সত্ত্বেও চলতি বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবে চীন।

জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো জানান, জি২০ভুক্ত সবগুলো দেশই চলমান করোনাভাইরাস সৃষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কথা বলেছে, যদি তা বহাল থাকে, তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মারাত্মক প্রভাব রাখবে, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে আসো আরও বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে তুলনামূলক অপ্রতুল তথ্য থাকায় কী ঘটছে, তা উপলব্ধি করা কঠিন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে অংশগ্রহণকারীরা মতামত রেখেছেন।

প্রাদুর্ভারের শুরুতে যে প্রবৃদ্ধি ঝুঁকির কথা বলা হয়েছিল, জি২০ সম্মেলনে সর্বশেষ খসরা প্রস্তাবনায় ততটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বরং এতে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি মোকাবেলায় বৈশ্বিক নিরীক্ষণ বাড়াবে। আলোচনার বিষয়ে অবহিত একটি সূত্র বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জি২০ দেশগুলো পৃথক কোনো কমিটি বা সভার পরিকল্পনা করেনি।

জর্জিয়েভা বলেছেন, জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বাজারে লিকুইডিটি বরাদ্দ, রাজস্ব ব্যবস্থা এবং আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব প্রশমিত করার জন্য কাজ করছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, মহামারির প্রভাব অব্যাহত থাকায় ডবিস্নউএইচওর মূল্যায়ন হলো, দৃঢ় ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে চীন এবং বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিস্তার ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো যেতে পারে।

শিল্প খাতের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স বলছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চীনে তেলের চাহিদা কমাতে পারে।

এশিয়ার অন্যান্য দেশেও এই প্রভাবে তেলের দাম আরও কমতে পারে।

আইএমএফের প্রধান বলেছেন, ভাইরাস সংক্রমণ এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি, বিশেষ করে প্রাদুর্ভাব যদি আরও কিছুদিন স্থায়ী হয় ও বিস্তৃত হয়।

অর্থনৈতিকভাবে নাজুক ও দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দেশগুলোর সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন জর্জিয়েভা। দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জরুরি অর্থ সাহায্যের জন্য আইএমএফের প্রস্তুতির কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<89970 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1