শেয়ারবাজারে টানা দরপতন

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন ঘটল। আগের পাঁচ কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও লেনদেনের শুরুতেই সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৮ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৪৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে ছয় কার্যদিবসের টানা দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমল ২৭৮ পয়েন্ট। অবশ্য, এর আগে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রম্নয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হলে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। টানা পতনের কবলে পড়ে চার হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে যাওয়া ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স হু হু করে বেড়ে ১৯ ফেব্রম্নয়ারি চার হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে চলে আসে। অর্থাৎ পতন কাটিয়ে ১০-১৯ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৩৭৩ পয়েন্ট। বড় উত্থানের পর আবার শেয়ারবাজারের টানা দরপতন দেখা দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হঠাৎ শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের কারণে এখন টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এদিকে প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় পতনের মুখে পড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এরমধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৯২ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা পতনে সূচকটি কমল ১০৭ পয়েন্ট। আর ডিএসইর শরিয়াহ্‌ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। টানা পতনে এই সূচকটি কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। সবকটি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬০টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৫০টির। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মা। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে সিলভা ফার্মাসিটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল, ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, গ্রামীণফোন, ফার কেমিক্যাল এবং লাফার্জ হোলসিম। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১৯৮ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৬২টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।