এটিএম ও নগদ লেনদেনে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংক - ফাইল ফটো
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংকটকালে গ্রাহকদের সুবিধার্থে প্রতিটি ব্যাংক শাখার ক্যাশকাউন্টার, এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডি-ভিত্তিক সব লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি লেনদেনের স্থান নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী এ সংস্থা?টি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার এবং সব পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য ব্যাংকের প্রতিটি শাখার ক্যাশকাউন্টার, এটিএম এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পয়েন্ট ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এজেন্ট পয়েন্টসমূহে নগদ অর্থ ও ই-মানি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সরবরাহের সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে। লেনদেনের স্থান অর্থাৎ ব্যাংক, এটিএম, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) ও এজেন্ট পয়েন্ট নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত ও তদস্থলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবাপ্রদানকারী ও গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণা ও স্যোশাল মিডিয়া, ই-মেইল, মোবাইলফোনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার বিষয়ে বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি ওয়েবসাইটেও গ্রাহককে সতর্ক করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক ও পরিশোধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ গ্রহণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ২৪/৭ হটলাইন ও ইন্টারনেটভিত্তিক গ্রাহকসেবা চালু রাখবে। একইসঙ্গে গ্রাহককে এ সময়ের সম্ভাব্য লেনদেনগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও ই-মেইল/এসএমএস প্রেরণ করবে। ব্যাংক, এমএফএস, পিএসপি, পিএসও এবং অন্যান্য আর্থিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের আইসিটি অবকাঠামো, সিস্টেম, ডেটাবেজ নিরাপত্তা এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী গ্রাহক ও নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি করতে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্দেশনায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ কেনার কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পিটুপি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একইসঙ্গে লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশআউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আনুযায়ী, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে কোনো চার্জ কাটা যাবে না। এভাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ও প্রতি মাসে এক লাখ টাকার জরুরি পণ্য কেনা যাবে। এর বেশি কেনাকাটায় চার্জ দিতে হবে।