মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্যপণ্য ক্রয়ে চার্জ না কাটার নির্দেশ

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যে কোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একই সঙ্গে লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশআউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দেশে আক্রান্ত একজনের মৃতু্য হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর রোগ বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। তাই গ্রাহক যেন এমএফএস সেবার মাধ্যমে ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ে উৎসাহিত হয় এ জন্য এ নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে। দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যানন্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার (সেবাদাতা) এবং সব পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে এমএফএসের ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) কোনো চার্জ কাটা যাবে না এবং এ লেনদেনের সর্বোচ্চ মাসিক সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করা যাচ্ছে। এমএফএস লেনদেনের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকার ক্যাশআউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে এমডিআর এবং আইআরএফ প্রযোজ্য হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং মাসিক সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার লেনদেন সীমা প্রযোজ্য হবে। নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন টেকনলোজির (এনএফসি) সুবিধাযুক্ত কার্ডের এনএফসি লেনদেন সীমা ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হলো। তবে এসব সেবা বিক্রয়কারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।