বিএটিবির 'রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন' পুরস্কার বাতিলের দাবি

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ প্রাপ্তদের তালিকা থেকে বহুজাতিক তামাক উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান- প্রজ্ঞা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ৩৪৫ জন মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে অকালে মারা যাচ্ছেন আর বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তামাক প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করার সমালোচনা করে প্রজ্ঞা বলেছে, তামাক কোম্পানিকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্র এই 'মৃতু্যবিপণনকে' উৎসাহিত করতে পারে না। জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির নামে তামাক কোম্পানিকে মনোনীত করার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে বাধ্য। তামাকের ক্ষতি থেকে বিশ্ববাসীকে সুরক্ষার জন্য ২০০৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়ন করে। আর এই এফসিটিসির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ বলে প্রজ্ঞার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে তামাক ব্যবহারে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা উলেস্নখ করে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের যায়যায়দিনকে বলেন, 'অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা জানার পরেও তামাক কোম্পানিকে এ ধরনের পুরস্কার প্রদান করার অর্থ হচ্ছে, তাদের ব্যবসাকে উৎসাহিত করা। আর এ ধরনের উৎসাহিত করার ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।' পুরস্কারের এই তালিকা থেকে বিএটিবির নাম প্রত্যাহার করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথ মসৃণ করার আহ্বান জানান এ বি এম জুবায়ের। তিনি বলেন, 'একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তামাক কোম্পানিকে সব পুরস্কার প্রদানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।' বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৬ ক্যাটাগরিতে ১৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮-এর জন্য মনোনীত করেছে সরকার। এই ৬ ক্যাটাগরি হচ্ছে, বৃহৎ শিল্প, মাঝারি শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাইক্রো শিল্প, কুটির শিল্প ও হাইটেক শিল্প। বৃহৎ শিল্পের তালিকায় প্রথম পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিএটিবি। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড আর তৃতীয় পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছে এনার্জি ইঞ্জিনিয়রিং লিমিটেড এবং অলিম্পিক ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড।