হ্যাকিং ঝুঁকিতে বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
উৎপত্তিস্থল চীনে কমলেও বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাসটিতে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোরও অনেক কর্মী সংক্রমিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে অনেক প্রযুক্তি জায়ান্ট। যে কারণে কর্মীরা বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন কর্মক্ষেত্রের ল্যাপটপ ও প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা, যা সাইবার অপরাধীদের দৃষ্টি এড়াবে না বলে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থাৎ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ দান সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে সতর্ক করেছে সাইবার বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্স। অবশ্য বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং আরও কয়েকটি দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা। কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা প্রাতিষ্ঠানিক ডাটায় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাড়িতে বসে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে বাড়িতে বসে কাজ করার সুবিধা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ বেড়েছে। সিসকো ডুয়ো সিকিউরিটির সিনিয়র উপদেষ্টা ওয়েন্ডি নেথার বলেন, যে কর্মীরা আগে কখনো বাড়িতে থেকে কাজ করেননি, তারাও এটি করার চেষ্টা করছেন। একটি নির্দিষ্ট মাত্রা মেনে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওইসব কর্মী। ওয়েন্ডি নেথারের এক দশক ধরে বিভিন্ন চাকরির কাজ বাড়িতে বসে করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ সময় তিনি জানান, সাম্প্রতিক এ পরিবর্তনের ফলে কর্মীদের আরও বেশি ভুল করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে বসে কাজ করায় প্রযুক্তি কর্মীদের ওপর চাপ বাড়ছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলোর পাসওয়ার্ড হাতানোর জন্য এ সুযোগই কাজে লাগাবে সাইবার অপরাধীরা বলে মনে করছেন নেথার। রয়টার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে নভেল করোনাভাইরাস থিমের সতর্কবার্তা, অ্যাপস বা বার্তাসহ ম্যালিশাস সফটওয়্যার কর্মীদের সামনে তুলে ধরছে সাইবার অপরাধীরা। মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগেই এমন সাইবার হামলার মুখে পড়েছিল। যেখানে হামলাকারীদের নভেল করোনাভাইরাস মহামারির সুযোগকে কাজে লাগাতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সংস্থা চেক পয়েন্টের গবেষকরা জানান, করোনাভাইরাস আপডেটকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে মঙ্গোলিয়ান সরকারের নেটওয়ার্কে সন্দেহভাজন রাষ্ট্র সমর্থিত হ্যাকাররা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। তাছাড়া অনেক কর্মীই তাদের নিয়োগকর্তার পেশাদার ডাটা নেটওয়ার্ক থেকে শুধু আসল পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত এমনসব ওয়াইফাই সেটআপ নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার এভাবে ডাটা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের বিধিনিষেধে শিথিলতা এনেছে। আর এ প্রক্রিয়ায় সাইবার অপরাধ ছাড়াও ডিভাইস চুরি বা ডাটা হারানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।