নভেল করোনাভাইরাস

ঝাঁকুনি কাটলেও ঝুঁকিতে চীনা অর্থনীতি :আইএমএফ

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের ঝাঁকুনি মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীন। এতে দেশটির অর্থনীতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখনো যথেষ্ট ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার এ বৈশ্বিক মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে এক বস্নগপোস্টে তারা এ আশঙ্কার কথা জানান। খবর রয়টার্স। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে নভেল করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃতু্য হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষের। সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার মতো নানা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে এরই মধ্যে এ ভাইরাসের অভ্যন্তরীণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। তবে এতে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় দেশটিকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনে লক্ষণীয় মাত্রার অর্থনৈতিক মন্থরতা দেখা যেতে পারে, যার গভীর আঁচড় পড়তে পারে বছরজুড়ে। তবে চীনের প্রতিক্রিয়ায় এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, কঠোর অর্থনৈতিক ত্যাগ সত্ত্বেও সঠিক নীতিনির্ধারণ মহামারি মোকাবিলা এবং ক্ষতি কমাতে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, চীনা বৃহদাকার প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগের আবার কার্যক্রম চালু হয়েছে। স্থানীয় কর্মীদের অনেকেই কাজে ফিরেছেন। তবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতায়াত আবার শুরু হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে পারে। তারা বলেন, অর্থনীতি যখন সচল হতে শুরু করছে, ঠিক তখনই অন্যান্য দেশে এ মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি এবং অর্থবাজারের অস্থিরতা ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে চীনা পণ্য নিয়ে সংশয়ী করে তুলতে পারে। আইএমএফের চীনা মিশনের প্রধান এবং এ বস্নগপোস্টের প্রধান সম্পাদক হেলজ বার্জার বলেন, অর্থনৈতিক ঝাঁকুনি মোকাবেলা এবং পুনরুদ্ধারের সহায়তা নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ কাজ করার সময় রাজস্ব নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইএমএফ জানায়, সামাজিক নিরাপত্তা ফি, ইউটিলিটি বিলে ছাড় এবং ফিনটেক ফার্মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি চিকিৎসা সামগ্রীর উৎপাদন বাড়তে ভর্তুকিযুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা পরিবার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তায় চীনা নীতিনির্ধারকরা ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছেন। সংস্থাটি আরও জানায়, প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বয়ের প্রয়োজনে চীনা নীতিনির্ধারকদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত থাকতে হবে।