আসন্ন বাজেটে ঢাকা চেম্বারের ১১ প্রস্তাব

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট করপোরেট কর কমানো এবং ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোসহ ব্যবসায় সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বুধবার ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেনের কাছে পেশ করেন সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ। এ সময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানায় সংগঠনটি। যাতে করে সরকার, সাধারণ জনগণ এবং বেসরকারিখাত এ অবস্থা উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে পারে। ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ, প্রগেসিভ হারে সব স্তর থেকে করপোরেট কর হার আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে হ্রাস করার প্রস্তাব করেন। করপোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর ২০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়, যাতে করে হ্রাসকৃত করপোরেট ট্যাক্স পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কর আহরণের নতুন উৎস সৃষ্টি হবে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা হতে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা এবং ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ এ হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার ও বর্ধনশীল জীবনযাপনের ব্যয় বিবেচনায় রেখে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলে করে ঢাকা চেম্বার। ডিসিসিআই'র সভাপতি, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ প্রদানের পরিবর্তে ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ অথবা যেকোনো হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াতের সুযোগ প্রদানেরও প্রস্তাব করেন। শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করার জন্য রপ্তানিমুখী শিল্পপণ্য উৎপাদন বাড়াতে ও রপ্তানিবহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করতে শিল্পপণ্য উৎপাদনে সব কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ওপর অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতের ডিজাইন এবং ডামি সেন্টার, স্যাম্পল, ইটিপি, জ্বালানি দক্ষতা এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে সংগঠনটি। পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।