করোনার প্রভাবে সংকটে বৈশ্বিক পণ্যবাজার

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছে বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে চীন ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। দেশে দেশে কভিক-১৯ রোগটি কেড়ে নিচ্ছে লাখো মানুষের জীবন। কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের বড় একটি অংশ। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৫০ কোটির বেশি মানুষ এ মুহূর্তে লকডাউনের আওতায় ঘরবন্দি জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। সংকট দেখা দিয়েছে খাবারসহ নিত্যপণ্যের। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক পণ্যবাজার গভীর সংকটে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মহামারির সময় স্বাভাবিকভাবেই খাবারের সংকট তৈরি হয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ এক, দুই কিংবা তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। ঘরে ঢোকার আগে মানুষ বাড়তি খাবার কিনেছেন। এর জের ধরে বিশ্বজুড়ে হঠাত্‌ করেই খাবারের চাহিদা বেড়েছে। অনেক দেশে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বিদ্যমান সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিভিন্ন দেশ শস্য ও খাদ্যপণ্য রপ্তানি সাময়িক বন্ধ করে দেয়ায়। কাজাখস্তান বিশ্বের অন্যতম আটা-ময়দা রপ্তারিকারক। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটি আটা, ময়দা, চিনি, সবজি রফতানি আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপের দেশ সার্বিয়া সূর্যমুখী তেলসহ কয়েকটি পণ্যের রফতানি স্থগিত করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাল রফতানিতে ক্লিয়ারেন্স দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভিয়েতনামের রাজস্ব বিভাগ। সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ শুনিয়েছে রাশিয়া। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ১০ দিনের জন্য বিশ্বজুড়ে শস্য রফতানি বন্ধ রাখতে রুশ রফতানিকারকদের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ। বিশেষত গম, ভুট্টা, যব, সয়াবিন তেলের রফতানি বাজারে দেশটির ভূমিকা অগ্রগণ্য। এ কারণে রাশিয়া থেকে রফতানি সাময়িক বন্ধ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যের দামে বড় ধরনের উত্থান-পতন দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) গমের দাম ৬ শতাংশ বেড়েছে। আমিষপণ্য, চিনি, ভোজ্যতেলের দামও বাড়তির দিকে। সরবরাহ সংকটের কারণে চলতি মাসে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক ২০১১ সালের ফেব্রম্নয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগ (এফএও)।