সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে তৎপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যাযাদি রিপোর্ট করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ সব পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা এবং বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সরকারি ছুটির সময়েও সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রোববার (২৯ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাজার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুর রহিম খান (মোবাইল-০১৭১১৩৬৮৪২৬), সিনিয়র সহকারী সচিব আশরাফুর রহমান (মোবাইল-০১৭১৬১৫৪০২০) এবং সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক মো. জিয়াউর রহমান (মোবাইল-১০৭১২১৬৮৯১৭) দায়িত্ব পালন করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। লতিফ বকসী বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার অভিযান পরিচালনাসহ স্বাভাবিক দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছে। জরুরি সেবা দিতে এখানে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। মোবাইল নম্বর ০১৮১৯৪০৪৭৩০ এবং ভোক্তা বাতায়ন নম্বর ১৬১২১। তিনি আরও বলেন, টিসিবির মাঠপর্যায় পর্যন্ত পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আগের মতো চলমান রয়েছে। টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ০২-৫৫০১৩৪৪৭। ১৬ দফায় বেড়েছে পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ যাযাদি রিপোর্ট ২৭ মার্চ থেকে আরও ১৫ দিনের জন্য পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ১৬ বার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হলো। গত বছরের ১৪ জুন প্রথম পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। লিস্টিং রেগুলেশনের ধারা ৫০(১) অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৬ দফায় এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৫ দিন করে বাড়ানো হলো। প্রথম দফায় গত বছরের ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ দিনের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ২৮ আগস্ট থেকে একই সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ায় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় দফায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ১৫ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বশেষ দফায় ২৭ মার্চ থেকে ১৫ দিনের জন্য কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো। সপ্তাহে ফক্সওয়াগনের লোকসান ২২০ কোটি ডলার যাযাদি ডেস্ক আটলান্টিকের উভয় পাড়ে উৎপাদন স্থগিত করায় প্রতি সপ্তাহে ২২০ কোটি ডলার লোকসান গুনছে ফক্সওয়াগন। নভেল করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন জার্মান গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটির সিইও হার্বাট দিয়েস। খবর বস্নুমবার্গ। জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফে এক প্যানেল আলোচনায় দিয়েস জানান, চীনের বাইরে গাড়ি বিক্রি প্রায় বন্ধ। এছাড়া জার্মানিতে গাড়ির চাহিদা সংকটের পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের জন্য ইউরোপ ও আমেরিকায় কারখানা শাটডাউনে ফক্সওয়াগন হয়তো টিকে থাকতে পারবে, কিন্তু অনির্দিষ্টকাল তা পারবে না। আর্থিকভাবে কোম্পানিটি শক্ত অবস্থানে থাকলেও সংকট যদি কয়েক মাস বা বছর প্রলম্বিত হয়, তাহলে 'কাঠামোগত পদক্ষেপ' গ্রহণের বিষয়টি উড়িয়ে দেননি তিনি। পৃথক একটি সাক্ষাৎকারে ফক্সওয়াগনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ফ্রাঙ্ক উইটার বলেন, পরিস্থিতি এখন যেমন আছে, তাতে জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই ফক্সওয়াগনের। তবে স্বল্পমেয়াদি কর্মীদের নগদ অর্থ সুবিধা দিতে পারে।