অনলাইনে বিএসইসিতে ২৩২ অভিযোগ, সমাধান ৯৪%

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চালু করা বিশেষ আনলাইন মডিউলে ৬ মাসে ২৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি বা ৯৪ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে সংস্থাটি। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। যে কোনো বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ জানানোর জন্য 'কাস্টমার কমপেস্নইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল' (সিসিএএম) নামে তৈরি করা বিশেষ ধরনের এ সফটওয়্যার গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করে বিএসইসি। অনলাইনের এই পদ্ধতিতে অভিযোগ দাখিল করতে বিনিয়োগকারীর ১৬ সংখ্যার বিও, নাম, ঠিকানা, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। অভিযোগ দাখিলের পরপরই অনলাইনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাবেন অভিযোগকারী। অভিযোগের জন্য অনলাইন মডিউল চালুর ছয় দিনের মাথায় গত বছরের ৬ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেছিলেন, 'বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির মডিউল ফলদায়ক ও কার্যকর। এই মডিউলটি চালুর দুই দিনের মধ্যেই একটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সেটি সাধারণ প্রক্রিয়ায় করতে গেলে হয়তো এক মাস লাগত। কারণ এতে অনেক প্রসিডিউর অনুসরণ করতে হতো।' বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ধরনের এ সফটওয়্যার চালুর পর গত ছয় মাসে ২৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৩টি অভিযোগ অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে। অনিষ্পত্তি অবস্থায় থাকা অভিযোগগুলোর মধ্যে ৪টি ফেব্রম্নয়ারি মাসে এবং ৯টি মার্চ মাসে জমা পড়েছে। জানা গেছে, মার্চ মাসে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে 'কাস্টমার কমপেস্নইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল'-এর মাধ্যমে ২৪টি অভিযোগ করেন। এর আগে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯টি অভিযোগ এবং ফেব্রম্নয়ারিতে ২৩টি অভিযোগ জমা পড়ে। বিএসইসির অনলাইন মডিউলটি চালু হওয়ার পরে গত বছরের অক্টোবরে সব থেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। মাসটিতে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কাছে ৮২টি অভিযোগ করেন। পরের মাস নভেম্বরে ৫৬টি এবং ডিসেম্বরে ২৭টি অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়ে বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ মডিউলের মাধ্যমে দ্রম্নত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। এতে অভিযোগকারীর হয়রানি ও ব্যয় কমে এসেছে। আগে যেসব অভিযোগ বছরের পর বছর পড়ে থাকত তা এখন অল্প সময়ের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অনলাইন মডিউল চালু হওয়ার আগে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে হতো বিনিয়োগকারীদের। আর অভিযোগের সেই কাগজ এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে যেতেই অনেক সময় লেগে যেত। তবে এখন আর সেই ভোগান্তি নেই। ফলে মডিউলটি চালু হওয়ার পরে একটি অনলাইনের অভিযোগ গড়ে ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাচ্ছে।