ফ্লাইট অপারেশন চার্জ মওকুফ চায় এয়ারলাইন্সগুলো

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বর্তমানে থমকে যাওয়া এয়ারলাইন্স শিল্পকে বাঁচাতে বাংলাদেশের কাছে ফ্লাইট হ্যান্ডেলিং, আকাশপথ ব্যবহারসহ ফ্লাইট অপারেশনের যাবতীয় চার্জ মওকুফ চেয়েছে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। মঙ্গলবার পৃথিবীর আকাশপথের খোঁজখবর নিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশসমূহের 'কোভিড-১৯ ইনফরমেশন শেয়ারিং' বিষয়ে টেলিকনফারেন্সে এই দাবি জানায় বাংলাদেশে ওঠানামা করা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা ও পরবর্তী করণীয় নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ ৩৩টি দেশের সিভিল এভিয়েশন এবং ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা। টেলিকনফারেন্সে উপস্থিত থাকা এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই যাত্রীশূন্যতা ও লকডাউননের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি বিমান পরিচালনা কোম্পানিগুলো হাজার হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশের কাছে তিন মাসের গ্রাউন্ড হ্যান্ডিং চার্জ, আকাশ ব্যবহারসহ কয়েকটি খাতে যে চার্জ দিতে হয়ে তা মওকুফের দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে এই ভিডিও কনফারেন্সের নেতৃত্ব দেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। টেলিকনফারেন্সে তিনি বলেন, তারা যে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে সেটা আমরা যথাযথভাবে উপস্থাপন করবো। এছাড়া বিমানবন্দরে করোনা প্রতিরোধে আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া আছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে গৃহীত ব্যবস্থাদি বিশেষ করে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে এর প্রভাব এবং বিমান চলাচল ব্যবস্থায় যাবতীয় নীতিমালা, বিধিবিধান ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে প্রত্যেক রাষ্ট্রের সিভিল এভিয়েশন প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। টেলিকনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকায় তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সরকারিভাবে বিভিন্ন চার্জ মওকুফ করলেও লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এ ছাড়াও এ মুহূর্তে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিমানের কার্গো ফ্লাইট চালু রয়েছে। মালামাল পরিবহণের এই ফ্লাইট পরিচালনাকালে যাতে বিমান বন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মী, পাইলট, ক্রু, প্রকৌশলীরা করোনাভাইরাস থেকে কিভাবে মুক্ত থাকতে পারে বা বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে পদক্ষেপ জানতে চান আন্তর্জাতিক কোম্পানি বা নেতারা। পাশপাশি কন্টিজেন্সি পস্ন্যান ও নিরাপদ আকাশ চলাচল নিশ্চিতকরণে বিশদ আলোচনা করা হয়।