করোনা দুর্যোগেও রমরমা ব্যবসা সিগারেট কোম্পানিগুলোর

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষ। করোনাভাইরাসে গোটা মানবজাতি যখন চরম দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে তখন বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও জাপান ট্যোবাকো সিগারেটের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে দেশীয় বিড়ি শিল্প শ্রমঘন শ্রমিক নির্ভর হওয়ায় তা বন্ধ করা হয়েছে। একদিকে করোনার থাবা অন্যদিকে কর্মহীন এ মানুষগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগেই তারা বিপুল পরিমাণ সিগারেট উৎপাদন করে মজুদ করে রাখে। পুরো দেশ লকডাউন হওয়ার আগেই দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণ সিগারেট সরবরাহ করে। আপরদিকে দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প শ্রমিক নির্ভর হওয়ায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু সিগারেট মেশিনে প্রস্তুত করা হয় বিধায় কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত পরিমাণ সিগারেট প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়। ফলে দেশীয় শিল্প বন্ধ হওয়ায় বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। তথ্য মতে, গত বছরের শেষে চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মহামারি করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধলাখ মানুষ মৃতু্যবরণ করেছে। ভাইরাসের প্রকট আকার ধারণ করায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লাখ করে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিপুল পরিমাণ সিগারেট তৈরি করে রাখে। এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। তারা বিপুল পরিমাণ সিগারেট তৈরি করে মজুদ করে রাখে। সিগারেট যেহেতু মেশিনে তৈরি হয়। সেজন্য অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণ সিগারেট প্রস্তুত করতে পারে। প্রস্তুতকৃত সিগারেট দ্রম্নত সময়ে বাজারে সরবরাহ করে। বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও পূর্বে অতিরিক্ত উৎপাদিক সিগারেট দিয়ে তারা ধূমপায়ীদের যোগান দিতে সক্ষম হচ্ছে। এদিকে দেশীয় কুটির শিল্প বিড়ি উৎপাদনে শ্রমিক নির্ভর হওয়ায় করোনাভাইরাসের কারণে বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে বিড়ি উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিড়ি যেহেতু শ্রমিকদের মাধ্যমে হাতে তৈরি করতে হয় সেজন্য তারা বেকার হয়ে পড়েছে। একদিকে করোনার থাবা, অন্যদিকে কর্মহীন এ মানুষগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এছাড়া বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ায় বিড়ি ভোক্তারা সিগারেটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে একচেটিয়া ব্যবসা করছে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো। একচেটিয়া ব্যবসার সুবাদে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লাভ করছে। এর ফলে তারা এদেশ থেকে মোটা অংকের টাকা পাচারের সুযোগ পাচ্ছে। সরকার এদিকে দৃষ্টি না দিলে দেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।